
কুমিল্লার
মুরাদনগরে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে
‘পরান’ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে
উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত
পরান (২০) একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের স্বর্ণকার বাড়ির আব্দুস সালামের
ছেলে। এ বিষয়ে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল মীমাংসা হয়ে যাবার জন্য
ভুক্তভোগী পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। ফলে এ রিপোর্ট লেখা
পর্যন্ত মামলা করার সাহস পাচ্ছে না অসহায় এ পরিবারটি।
ভুক্তভোগীর পরিবার
ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে
সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হয়। সে ঘরে ফিরে প্রবেশ করা মাত্রই আগে থেকে ওত
পেতে থাকা পরান ভেতরে ঢুকে পড়ে। কিশোরীর মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
একপর্যায়ে কিশোরী চিৎকার শুরু করলে পাশের কক্ষে থাকা তার দাদা ও স্বজনরা
এগিয়ে আসেন। এসময় অভিযুক্ত পরান কৌশলে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। স্বজনরা
কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগীর
স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার পর থেকে কিশোরী মানসিকভাবে ভেঙে
পড়েছে। সে বারবার আতঙ্কে শিউরে উঠছে। তারা অবিলম্বে অভিযুক্ত পরানকে
গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মুরাদনগর থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান জামিল খান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত
অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।”
এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পরান এলাকা ছেড়ে পলাতক রয়েছে।
তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান ও স্থানীয় তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা
গেছে।
