কুমিল্লাজুড়ে
জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা না
মেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে, ফলে সাধারণ
মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা
বলছেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে
যাওয়ার কারণেই শীতের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার
আবহাওয়া ইনচার্জ সৈয়দ আরিফুজ্জামান 'দৈনিক কুমিল্লার কাগজ'-কে জানান,
বৃহস্পতিবার (২৫, ডিসেম্বর) কুমিল্লায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা
হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি
উল্লেখ করেন, গত বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় একই থাকলেও
বিপত্তি ঘটিয়েছে কুয়াশা। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার আগে সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে পারেনি। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন
তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় আজ তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
জেলায়
শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না-এমন প্রশ্নে আরিফুজ্জামান বলেন,
সাধারণত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে আমরা সেটিকে
শৈত্যপ্রবাহ বলি। বর্তমানে কুমিল্লায় কোনো শৈত্যপ্রবাহ নেই এবং কোনো 'রেড
অ্যালার্ট'ও জারি করা হয়নি। তবে উত্তরবঙ্গের জন্য শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা
রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় সাধারণত রাত ১০টার পর
থেকে কুয়াশা শুরু হয়ে পরদিন সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে। তবে
সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন সারাদিন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার সম্ভাবনা
রয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) পূর্বাভাস জানিয়ে ইনচার্জ সৈয়দ
আরিফুজ্জামান বলেন, এই সময়ের মধ্যে কুমিল্লার আবহাওয়ায় বড় ধরনের কোনো
পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ, শীত ও কুয়াশার এই বর্তমান পরিস্থিতি আরও
কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বাড়ায়
বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে
যানবাহন চলাচলেও ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। তীব্র শীতের কারণে বাজারে গরম
কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে এবং হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত
রোগীর সংখ্যা।
