প্রকাশ: শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:৫৭ এএম আপডেট: ২৭.১২.২০২৫ ১:১৮ এএম |

দেড় যুগ পর বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির সামনে
দাঁড়ালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান; জলভরা চোখে বাবার
জন্য মোনাজাত করলেন তিনি। লন্ডনে ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার
পরদিন শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান
তারেক রহমান। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতার
প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর দোয়া ও মোনাজাত করেন।
প্রথমে বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার
শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে দুহাত তুলে
মোনাজাত করেন তারেক রহমান। তিনি কিছুক্ষণ একা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন, এ সময়
তাঁকে চোখ মুছতে দেখা যায়।
১৯৮১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান
যখন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন, তখন তারেক রহমানের বয়স ১৬ বছর। আওয়ামী
লীগের শাসনামলে ২০১৫ সালে নির্বাসনে থাকাকালে ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকেও
হারান তারেক রহমান। মায়ের পাশাপাশি তাঁরা দুই ভাই ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা
জারির পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়ার পর তারেক রহমান
যুক্তরাজ্য এবং আরাফাত রহমান মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন।
ছাত্র
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১৫ মাস পর গতকাল যখন তারেক
রহমান দেশে ফেরেন, তখন তাঁর মা বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী।
নিরাপত্তার মধ্যে
বুলেটগ্রুফ বাসে দুপুরের পর গুলশানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে জিয়া উদ্যানে রওনা
হন তারেক। তাঁর কর্মসূচি ঘিরে আজও ছিল নেতা-কর্মীদের ভিড়। তারেক রহমানও
বাসের ভেতরে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
বিকেল
সাড়ে চারটার দিকে বাস থেকে নেমে হেঁটে বাবার কবরে যান। এ সময় নেতা-কর্মীদের
সামাল দিতে নিরাপত্তাবাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়। সেখানে ১০ মিনিটের মতো
ছিলেন তারেক। এরপর তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের
প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে রওনা হন।