প্রায়
দেড় যুগ পর বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে
ফিরেছেন। দেশে ফেরার একদিন পর শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে
গুলশানের বাসভবন থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাবার (জিয়াউর রহমান) কবর
জিয়ারত করলেন। এর আগে ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
উপলক্ষে বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন
করেছিলেন দলটির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। কবর জিয়ারতের পর
তিনি লাল-সবুজ রঙের বুলেট প্রুফ বাসে করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি
শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান।
এর আগে দুপুর ২টা ৫৪
মিনিটে তারেক রহমান গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসা থেকে জিয়া উদ্যানের
উদ্দেশ্যে রওনা হন। গুলশান-২ গোলচত্বর হয়ে বনানী, সেখান থেকে মহাখালী
ফ্লাইওভার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এলাকা, বিজয় সরণি ও বিমানচত্বর
অতিক্রম করে জিয়া উদ্যানে যান। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে তিনি সমাধিস্থলে প্রবেশ
করেন। এ সময় চন্দ্রিমা উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা
রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান এবং শুভাগমন উপলক্ষে বিভিন্ন
স্লোগান দেন। এসময় জিয়া উদ্যান ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ,
র্যাব, এপিবিএন ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় তারেক
রহমানের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির
সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা
কর্মকর্তা ড. এ কে এম শামসুল রহমান শামস, উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, বিএনপি
চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস ছাত্তার, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর
আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ
হেলাল এবং দপ্তর সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
তারেক
রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে জিয়া উদ্যান ও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র্যাবের
পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
কর্মকর্তারাও রাখেন স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘিরে।
