প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম |

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টা দিকে তিনি মারা যান । সিঙ্গাপুরে ওসমান হাদির চিকিৎসা দেখভালের সঙ্গে যুক্ত থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজেও ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর মতিঝিলে জুমার নামাজ পড়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেন হাদি। এরপর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে ওই দিন দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে হাদিকে বহনকারী অটোরিকশা পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশন শেষে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ মারা যান।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তদন্তে জানা গেছে, হামলার আগে কয়েক মাস ধরে হাদির নিয়মিত চলাচল, বাসা ও অফিসের রুট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল।
তদন্তে আরো উঠে এসেছে, গুলিবর্ষণের পর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান আগারগাঁওয়ে তার বোনের বাসায় আশ্রয় নেন। পরে শ্যুটার ফয়সাল ও মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
র্যাব ও ডিবির যৌথ তদন্তে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের কর্নেল গলিতে একটি বাসার নিচ থেকে দুটি ম্যাগাজিন ও ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে নরসিংদী থেকে আরো পাঁচটি অস্ত্র ও ৪১ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলাটি তদন্ত করছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
এ পর্যন্ত র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিভিন্ন মেয়াদে তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।