শনিবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
১৩ পৌষ ১৪৩২
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের প্রতিশ্রুতি
শেখ রফিক
প্রকাশ: শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:৩৩ এএম আপডেট: ২৭.১২.২০২৫ ১:১৭ এএম |

 রাজনৈতিক সংকট নিরসনের প্রতিশ্রুতি

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বাংলাদেশ যে রাজনৈতিক সংকটের বৃত্তে আবদ্ধ, তা কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, এটি দীর্ঘদিনের ক্ষমতার অপব্যবহার, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস, প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং জনগণকে রাজনীতির কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়ার ফল। রাষ্ট্র গত দেড় দশকে ধীরে ধীরে একটি দলীয় শাসনব্যবস্থায় রূপ নিয়েছিল, যেখানে নির্বাচন ছিল আনুষ্ঠানিকতা, সংসদ ছিল নির্বাক, বিচারব্যবস্থা ছিল চাপের মুখে এবং প্রশাসন ছিল দলীয়করণে আক্রান্ত। এই বাস্তবতায় রাজনীতি জনগণের আস্থা হারিয়েছিল, রাষ্ট্র হারিয়েছিল তার গণতান্ত্রিক ভিত্তি।
এই সংকটকে যদি কেবল সরকার পরিবর্তনের সংকট হিসেবে দেখা হয়, তবে সেটি হবে বাস্তবতাকে সরলী করা।
এই সংকট মূলত রাষ্ট্র পরিচালনার দর্শনগত ব্যর্থতা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের ধারাবাহিকতা এবং জনগণকে ক্ষমতার উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফল। এই বাস্তবতায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ছিল ইতিহাসের অনিবার্য পরিণতি। এটি ছিল জনগণের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রকে দেওয়া একটি স্পষ্ট বার্তা ভয়, দমন, বৈষম্য ও নিঃশব্দতার রাজনীতি আর গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও রাজনৈতিক সংকট নিরসন না হয়ে আরো বহুগুণে বেড়ে গেছে।
গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারী শক্তি একের পর এক হিংস্র, পাশবিক, বর্বর ঘটনার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল, বৈরী ও অনিশ্চিত করে তুলছে।
সম্প্রতি শুধু ‘হাদি’ হত্যার অজুহাতে হাইকমিশনের কার্যালয়, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং নিউজ এজ সম্পাদক নুরুল কবিরের ওপর হামলা, লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে সাত বছরের একটি শিশুকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে আগুন এবং বিধ্বস্ত বত্রিশেই কয়েক দফায় হামলার ঘটনাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ব্যক্তিবিশেষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা তো আছেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ওসমান হাদির লাশ সামনে রেখে দেশে নৈরাজ্য ও অচলাবস্থা সৃষ্টি করছে কারা?
এই হামলার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রসংগঠনের নেতা বক্তব্যে বলছেন, “আগামীকালকে ‘বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচী’কে তছনছ করে দিতে হবে, তাহলেই প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।
” এ ছাড়া অন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই একই ছাত্রসংগঠনের এক নেতাকে দুটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মব উসকে দিতে এবং একটি মিডিয়ার স্থানীয় অফিস ভাঙচুরে নেতৃত্ব দিতেও দেখা যায়।  
এই হামলার পর রাজনৈতিক দল ও সরকার বলছে, একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়ে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। অন্যদিকে সরকারের গাফিলতিতে হাদির খুনিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেল! প্রতিদিন নৈরাজ্য, হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বর্বরতা চলছে, যেন থামানোর কেউ নেই! এ অবস্থা আর কত দিন?
এক বছর চার মাস ধরে নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস বারবার দিয়ে আসছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সতর্ক করেছিলেন—কিছু অদৃশ্য শক্তি দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও নির্বাচনব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য একটি ‘নিয়ন্ত্রিত’, কার্যত ‘নির্বাচনবিহীন’ শাসনব্যবস্থা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া।
রাজনৈতিক পরিবেশকে ঘোলা করে, ‘নিরাপত্তাহীনতার অজুহাত’ সামনে এনে আবারও একটি তথাকথিত অন্তর্র্বতী সময় তৈরি করার পরিকল্পনাই তাদের মূল কৌশল।
এই প্রক্রিয়ায় জাতীয় নিরাপত্তার নতুন ন্যারেটিভ দাঁড় করানো হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে বিদেশি স্বার্থসংযুক্ত একটি চক্র সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে। উদ্দেশ্য একেবারেই স্পষ্ট—নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া, জনগণের রায়কে পাশ কাটানো এবং ধাপে ধাপে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুদ্ধ করে দেওয়া।
১৭ বছর ধরে বিএনপি ও দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ধারাবাহিকভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে। এই দাবি ছিল ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের কয়েক মাস পর দেখা গেল, বিএনপি ছাড়া কয়েকটি দল নানা অজুহাতে একের পর এক নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এ কারণে দেশি-বিদেশি অপশক্তি নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করতে আরো বেশি সুযোগ পায়।
তারেক রহমান এই রাজনৈতিক সংকটের উৎসকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক না দেখে কাঠামোগত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বাংলাদেশের সমস্যা কোনো একক দল বা সরকারের নয়, সমস্যা হলো এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, যেখানে কোনো জবাবদিহি নেই।
রাজনৈতিক সংকটের কেন্দ্রে যে আস্থাহীনতা ‘জনগণ বনাম রাষ্ট্র’ ও ‘বিরোধী মত বনাম ক্ষমতা’ তারেক রহমান এই দুটিকে অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখছেন। তাই তাঁর প্রথম প্রতিশ্রুতি হলো নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা। মত প্রকাশ, ভিন্নমত, রাজনৈতিক বিরোধ এসবকে গণতন্ত্রের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলেছেন। এ জন্য তিনি প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী।’
তাঁর মতে, কোনোভাবেই রাজনৈতিক সংকটের সমাধান প্রতিশোধে নয়, সমঝোতায়। দমন-পীড়নে নয়, অংশগ্রহণে। একদলীয় কর্তৃত্বে নয়, জাতীয় ঐকমত্যে। এই বক্তব্য বাংলাদেশের অতীত রাজনীতিতে থেকে একেবারেই ভিন্ন সুর। এই অবস্থান রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের অর্থ সাধারণত হয়ে দাঁড়ায় প্রতিপক্ষ নিধনের লাইসেন্স। কিন্তু তারেক রহমান বলেছেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এমন কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, সে সরকারপন্থী হোক বা বিরোধী।’ এটি রাষ্ট্রের চরিত্রবদলের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দলিল।
তারেক রহমানের দ্বিতীয় বড় প্রতিশ্রুতি হলো ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, জনগণ আর কথার রাজনীতি চায় না, জনগণ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়। এই উপলব্ধি থেকেই তিনি জনগণকে বিএনপির রাজনৈতিক ক্ষমতার একমাত্র উৎস হিসেবে স্বীকার করেছেন। ক্ষমতা যদি জনগণের কাছ থেকেই আসে, তবে ক্ষমতার জবাবদিহিও জনগণের কাছেই দিতে হবে এই গণতান্ত্রিক দর্শন তাঁর রাজনীতির ভিত্তি। গণতন্ত্র কেবল নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র হলো জনগণের ক্ষমতায়ন, মত প্রকাশের নিরাপত্তা এবং বিরোধী মতের সহাবস্থান। তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনা কোনো দলের একক সম্পত্তি নয়, এটি জনগণের আমানত।’
কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট এখন আর কেবল দলীয় দ্বন্দ্বে সীমাবদ্ধ নেই। এটি রাজনীতি, অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা, বিচারব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘ স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে। এসব পুনর্গঠনে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আর স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত হলো একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।
এখানেই সংস্কার বনাম নির্বাচন বিতর্কে তারেক রহমানের অবস্থান পরিষ্কার। তিনি সংস্কারের প্রয়োজন অস্বীকার করেন না, কিন্তু সংস্কারের নামে অনির্দিষ্টকাল ভোট স্থগিত রাখাকেও গ্রহণযোগ্য মনে করেন না। কারণ ইতিহাস বলে, ভোটহীন সংস্কার শেষ পর্যন্ত আবারও অনির্বাচিত ক্ষমতার জন্ম দেয়, যা গণতন্ত্রকে আরো দুর্বল করে, রাজনৈতিক সংকট বাড়ায়; যা বর্তমানে অমোঘ সত্য হয়ে ফুটে উঠেছে।
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে তারেক রহমানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি হলো জীবনঘনিষ্ঠ রাজনীতি। তিনি বলেছেন, বিএনপির আগামী দিনের নীতি হবে জনগণের জীবন উন্নয়নের রাজনীতি। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী অধিকার ও তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন এসবকে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কেন্দ্রে রেখেছেন। বিশেষ করে যুবসমাজের কর্মসংস্থানের প্রশ্নে তিনি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বলেছেন, যা রাজনীতিকে স্লোগান থেকে বাস্তবে রূপান্তরের ইঙ্গিত দেয়।
তারেক রহমানের প্রতিশ্রুতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তিনি জনগণকে ক্ষমতার উৎস হিসেবে পুনঃস্থাপন করতে চান। তাঁর ভাষায়, ‘জনগণ প্রত্যাখ্যান করলে কেউ নেতা থাকে না।’ এই বক্তব্য বাংলাদেশের ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতিতে এক ধরনের নৈতিক পুনর্র্নিধারণ। এখানে রাজনীতিবিদ নিজেকে জনগণের ঊর্ধ্বে নয়, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হিসেবে কল্পনা করেন। রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তারেক রহমান যে রূপরেখা দেখাচ্ছেন, তার কেন্দ্রে রয়েছে সুশাসন, জবাবদিহি এবং মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার রাজনীতি।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারেক রহমান তরুণসমাজকে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের অংশীদার হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক ইতিহাস বলে, যে নেতৃত্ব সংকটকে অস্বীকার করে, সে সংকটকে দীর্ঘস্থায়ী করে। আর যে নেতৃত্ব সংকটকে স্বীকার করে, দায় নেয় এবং সমাধানের পথে হাঁটে, সে ইতিহাস তৈরি করে। বাংলাদেশ আজ এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে প্রতিহিংসার পথে গেলে রাষ্ট্র আরো গভীর অস্থিরতায় ডুবে যাবে, আর সমঝোতার পথে গেলে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণ সম্ভব।
অদৃশ্য ও দৃশ্য যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, তা কখনোই সফল হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলার প্রত্যয় নিয়ে তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প। নির্বাচন হতে হবে।’ তিনি মনে করেন, জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন এখন সময়ের দাবি, যা রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংকট নিরসনে অবিচ্ছেদ্য।
বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি জনগণের মৌলিক চাহিদা, অধিকার ও স্বপ্নকে বাস্তবায়নের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা। রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পরিবর্তন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক সুরক্ষা প্রতিটি ক্ষেত্রে এই কর্মসূচি একটি নতুন জীবনব্যবস্থার সূচনা করতে সক্ষম হবে।

লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক কলাম লেখক















http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লা বিএনপি ‘বাঁচাতে’হাজী ইয়াছিনের অনুরোধ
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা
বাবার সমাধির সামনে জলভরা চোখে তারেক রহমান
হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে কুমিল্লায় ইনকিলাব মঞ্চের দোয়া ও বিক্ষোভ
দেশের প্রথম বাইক ট্র্যাক ট্রেইল রেস হলো কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় দুর্ঘটনার পর বাসে আগুন দিলো স্থানীয়রা
কুমিল্লায় কুয়াশার চাদরে ঢাকা সূর্য: জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত
অসহায়, নিপীড়িত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে মনোহরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরাম -জসিম উদ্দিন সিআইপি
মাতৃভূমিতে তারেক রহমান
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে হাতী প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২