
দ্বিতীয়বারের
মতো বিপিএলে সেঞ্চুরি করলেন রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার
ইনিংসে ভর করেই ৮ উইকেটের জয়ে শুভসূচনা করেছে ওয়ারিয়র্স।
পারভেজ হোসেন
ইমনের অপরাজিত ঝোড়ো ইনিংসে ১৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় সিলেট
টাইটান্স। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর কোনোভাবেই চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি
রাজশাহীকে।
তবে শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ১০ রান
করে ফেরেন দলীয় ১৯ রান করে। অন্য ওপেনার পাকিস্তানের সাহিবজাদা ফারহানও
ভালো করতে ব্যর্থ হন। ১৯ রান করে আউট হলে ৬২ রানে পতন হয় দ্বিতীয় উইকেটের।
যদিও তাতে কোনো বিপদ হয়নি। জয়ের হাসি হেসেছে রাজশাহীই।
সিলেটের বোলাররা
কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর সামনে। একের পর এক
বাউন্ডারিতে তিনি দিশেহারা করে দেন স্বাগতিক বোলারদের। ছক্কা হাঁকান ৫টি ও
চার মারেন ৯টি।
জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতে রুয়েল মিয়ার বলে দুইবার
প্রান্ত বদল করে ৫৮ বলে পূর্ণ করেন বিপিএল ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয়
সেঞ্চুরি। অপরাজিত ছিলেন ৬০ বলে ১০১ রানে। ২০২০ সালে খুলনা টাইগার্সের হয়ে
ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে অপরাজিত ৫৭ বলের ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ১১৫ রানের
ইনিংস খেলেন শান্ত। সেটি ছিল বিপিএল ইতিহাসে তার প্রথম সেঞ্চুরি।
শুক্রবার
(২৬ ডিসেম্বর) উইনিং শট খেলেন মুশফিকুর রহিম। সেই শটেই অর্ধশতক আদায় করে
কানে আঙুল দিয়ে উদযাপন করেন রাজশাহীর জয়। ৩১ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন
তিনি। ৮ উইকেটের জয়ে শান্ত ও মুশফিকের জুটিতে যোগ হয় ১৩০ রান।
