বঙ্গোপসারে
সৃষ্ট গভীর নিন্মচাপের প্রভাবে কুমিল্লায় মওসুমের সর্ব্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায়
ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণে কুমিল্লা শহরের সড়ক ও অলিগলি হাঁটু পানির নিচে
তলিয়ে যায়। চারদিকে অথৈ পানিতে সড়কের পাশের গর্ত, নালা-নর্দমা ও ড্রেনগুলোও
অদৃশ্য হয়ে পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ নালা-নর্দমা ও ড্রেনের পাশে ছিলো না কোন
সতর্কীকরণ বেরিয়ার। যার ফলে ফুটপাত ধরে হাটতে গিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে
কুমিল্লার নগরীর বিভিন্ন স্থানে নালা-নর্দমা ও ড্রেনে পড়ে গিয়ে ডুবেছেন
বেশকয়েকজন নারী ও পুরুষ। তাদের মধ্যে এক নারী ড্রেনের পড়ে ডুবে যাওয়ার
দৃশ্য মুটোফোনে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহুর্তের
মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অবহেলা এবং অসচেতনাকে
দায়ী করে সমালোচনা করেন নগরীর বাসিন্দা ও নেটিজেনরা। ফুটপাত ধরে হাটতে গিয়ে
ড্রেনের পানিতে ওই নারী ডুবে যাওয়া ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা নগরী সালাউদ্দিন
মোড়ে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া নারী কুমিল্লার কোটবাড়ি
বিশ্বরোড এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা নগরীর কেয়ার ইসপিটালে কমর্রত বলে
জানা গেছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সালাউদ্দিন মোড়ের পশ্চিমপাশের
কালভার্টের পাশদিয়ে হাটতে গিয়ে অসতর্কবশত অবস্থায় অরক্ষিত ড্রেনে ডুবে যান
ওই নারী। এসময় পাশের ফার্মেসি দোকানে থাকা স্থানীয় ও পথচারীরা পড়ে যাওয়ার
দৃশ্য দেখে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে এসে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করেন। তিনি
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন।
আহত নারীর বক্তব্য
পাওয়া না গেলেও ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা এর জন্য দায়ী করেছেন কুমিল্লা সিটি
কর্পোরেশনকে। নগরভবনের কর্তাব্যক্তিদের অবহেলা কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে
তারা জানান। সিটি কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও অরক্ষিত এ ড্রেনের
পাশের দেয়া হয়নি কোন বেরিয়ার। যেখানে প্রায়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।