ইসমাইল নয়ন।।
সবজি
চাষে বরাবরই এগিয়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া। এ এলাকার চাষিরা সারা বছরই
বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এবছরও ব্যাপক
পরিমাণে সবজির চাষ হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে
দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে সবজির বাজার দর
খুবই কম। উৎপাদিত সবজির কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন উপজেলার
চাষিরা।
উপজেলার মালাপাড়া,চন্ডিপুর,রামনগর, মনোহরপুর, জিরুইন, সিদলাই,
বেড়াখোলা, পোমকাড়া, লাড়ুচৌ,চান্দলা, বলাখাল, সবুজপাড়া, মাধবপুর, ষাইটশালা,
জামতলী, বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা পাইকারদের কাছে ফুলকপি
বিক্রি করছেন ৮ থেকে ১০ টাকা, বাঁধাকপি ৬ থেকে ৮ টাকা এবং শিম ১৫ থেকে ২০
টাকা লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। এতে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে
বলে জানিয়েছেন তারা।
উপজেলার সিদলাই ইউনিয়ন এর পোমকাড়া গ্রামের কৃষক
আব্দুল মান্নান বলেন, বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের খরচ আগের তুলনায় অনেক
বেড়েছে। কিন্তু সবজির দাম বাড়েনি। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
অন্যদিকে
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠ পর্যায়ে কম দামে কেনা
সেই সবজিই খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ বা তারও বেশি দামে। এতে
ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারে সবজি কিনতে
আসা জলিল মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, কৃষকেরা কম দামে বিক্রি করলেও আমাদের
কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। মাঝখানে কারা লাভ করছে, তা বুঝতে পারছি না।
কৃষিখাত
সংশ্লিষ্টদের মতে, একাধিক মধ্যস্বত্বভোগী, পরিবহন সংকট এবং সংরক্ষণ
সুবিধার অভাবে কৃষক ও ভোক্তার মধ্যে দামের এই বড় ব্যবধান তৈরি হচ্ছে।
এ
বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: আবদুল মতিন জানান, এ বছর
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ হেক্টর।
অর্জিত হয়েছে তার চেয়েও বেশি, সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয় উপজেলার মালাপাড়া
ইউনিয়নে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বাজার ব্যবস্থাপনায় আরও
কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা তা সঠিকভাবে নজরদারি বৃদ্ধি
করছি।
