বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫
১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সহায়ক শক্তি
মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১:০২ এএম |



 বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সহায়ক শক্তি নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের ধাপ পেরিয়ে উচ্চ আয়ের দেশ তথা উন্নত দেশের কাতারে যুক্ত হওয়ার স্বপ্ন সব দেশেরই থাকে। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় সব দেশ। এ চাওয়াটা খুব স্বাভাবিক, এর মধ্যে অন্যায় কিছু নেই। কিন্তু চাইলেই নিজ দেশকে উন্নত দেশের কাতারে তুলে ধরা সহজ নয়। বিশ্বমন্ডলে দেশকে তুলে ধরতে হলে প্রয়োজন অভ্যন্তরীণভাবে সব কিছু গুছিয়ে নেয়া, নিজের সক্ষমতাকে তুলে ধরে আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন সূচকে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ঘটানো।
অনুন্নত,  স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহ বহুবিধ কারনে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণ করে। বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা নিয়ে গ্রহীতা দেশ অভ্যন্তরীন অবকাঠামো ও উন্নয়নধর্মী প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহার করে। এ ঋণের যথাযথ ব্যবহার ঋণ গ্রহীতা দেশে কাংখিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করে,  কর্মসংস্থান বাড়ায়, অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনয়ন করে। এককথায় বলা যায়,  ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। বৈদেশিক ঋণ নিয়ে গ্রহীতা দেশ অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো ও উন্নয়নধর্মী প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে ব্যবহার করে। এ ঋণের যথাযথ ব্যবহার ঋণ গ্রহীতা দেশে কাংখিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করে, কর্মসংস্থান বাড়ায়, অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনয়ন করে। এক কথায় অনুন্নত,  স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনর জন্য বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা গ্রহন করতে হয়। বাংলাদেশ মূলতঃ নিজেস্ব যে সম্পদ আছে এবং বিনিয়োগ ও লেনদেন ভারসাম্যের জন্য যে সম্পদ প্রয়োজন তার ফাঁক পূরণের লক্ষ্যে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণ করে থাকে। বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা যে প্রকারভেদে গৃহীত হয় সেগুলো হল ঋণ ও অনুদান। ব্যবহারের দিক থেকে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা আবার তিন প্রকার যেমন, (ক) প্রকল্প সাহায্য (খ) পণ্য সাহায্য ও (গ) খাদ্য সাহায্য।
স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে ১৯৭১/৭২ এ ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে বাংলাদেশের অনুকূলে ২৭০.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা ছাড় করা হয়েছিল। এর মধ্যে অনুদান হিসাবে ২৪৫.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও  ঋণ হিসাবে ২৫.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গৃহীত হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট প্রতিশ্রুতি বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার পরিমাণ ছিল ১০.৭৪  বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ঋণ ৯.৮৯  বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও অনুদান হচ্ছে ০.৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্বাধীনতার পরবর্তীতে বিগত ৫৪ বছরে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা প্যাকেজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। দিন দিন অনুদানের পরিমান কমে এসেছে অন্যদিকে ঋণের পরিমান বেড়েছে। যেখানে ১৯৭১-৭২ সময়কালে মোট বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার ৯০.৫ শতাংশ ছিল অনুদান ও ৯.৫ শতাংশ ছিল ঋণ সেখানে ২০২৩-২৪ সময়কালে অনুদান ও ঋণের পরিমান এসে দাঁড়িয়েছে মোট সহায়তার যথাক্রমে ৭.৮ শতাংশে ও ৯২.২ শতাংশে। একই সাথে সময়ের পরিক্রমায় খাদ্য এবং পণ্য সাহায্য তীব্র পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। খাদ্য সাহায্য ৪৭.৯ শতাংশ (১৯৭১-৭২) থেকে কমে ২০২৩-২৪ সালে ০.২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে পণ্য সাহায্য ৫০.৮ শতাংশ (১৯৭১-৭২) থেকে ২০২৩-২৪ সালে শূণ্য শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিপরীত দিক থেকে প্রকল্প সাহায্য ১.৩ শতাংশ (১৯৭১-৭২) হতে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ৯৯.৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতার পর হতে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত সময়কালে মোট ১৯১.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমান বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। স্বাধীনতার পর হতে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত সময়কালে ১৩২.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা ছাড় করা হয়েছে, যার মধ্যে অনুদান ও ঋণের পরিমান ছিল যথাক্রমে ৩০.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ১০১.৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ব্যবহারগত দিক থেকে জুন ৩০, ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি ১৯১.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর মধ্যে খাদ্য সাহায্য হিসাবে ৭.০৫  বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ১১.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য সাহায্য, ১৭৩.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প সাহায্য এবং বাজেট সহায়তা হিসাবে ১৩.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগৃহীত হয়েছে। অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি অর্থের বিপরীতে ছাড়কৃত ১৩২.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে খাদ্য সাহায্য বাবাদ ৭.০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ব্যয়িত খাদ্য সহায্য বাবদ ১০.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ১১৪.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প সাহায্য, ১২.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সার্পোট হিসেবে খরচ করা হয়েছে।
বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা প্রাপ্তি উৎস সমূহের মধ্যেও দিনে দিনে পরিবর্তন এসেছে। সময়ের পরিক্রমায় দ্বি-পাক্ষিক উৎসের তুলনায় বহু পাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী/সংস্থা হতে সহায়তা গ্রহণের হার বেড়েছে। ১৯৭১/৭২ সময়কালে দ্বি-পাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী হতে প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন সহায়তার পরিমান ছিল মোট সহায়তা ৮৫.৭ শতাংশ যেখানে ২০২৩-২৪ সময়কালে তা কমে দাঁড়িয়েছে মোট সহায়তার ৪৬.০৭ শতাংশে। অন্যদিকে এ সময়কালে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী/সংস্থার সহায়তার পরিমাণ ১৪.৩ শতাংশ (১৯৭১/৭২) হতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩.৯৩ শতাংশে (২০২৩/২৪)। ব্যবহারের দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় খাদ্য ও পণ্য সাহায্য অনেক পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে এবং প্রকল্প সাহায্যের ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৯৭২ সাল হতে ২০২৪ অবধি প্রাপ্ত বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে বিশ্বব্যাংক হতে (৩০.৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক রয়েছে ২য় স্থানে (২৪.৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং জাপানের অবস্থান হচ্ছে ৩য় (২২.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। চীন রয়েছে ৪র্থ স্থানে এবং রাশিয়া ৫ম স্থানে। ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৮টি মুদ্রায় গৃহীত হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে এসডিআর (৩৫.০৯%), মার্কিন ডলার (৩৮.৩৫%), জাপানি ইয়েন (১৭.৪%), ইউরো (৪.৬%), চাইনিজ ইউয়ান (১.০%)।
ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের সুখ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশ কখনও ঋণের দায় পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। অভ্যন্তরীণ দায়ের তুলনায় বৈদেশিক দায় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বেশকিছুটা জটিল ও স্পর্শকাতর। অভ্যন্তরীণ ঋণ সাধারণত বাজেটের দায় হিসাবে বিবেচিত হয় এবং সরকারি রাজস্ব আয় অথবা অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে সুরাহা করা হয়। অন্যদিকে বৈদেশিক দায় ব্যবস্থাপনা সরকারি রাজস্ব আয় ছাড়াও ব্যালেন্স অব পেমেন্টের দায় বর্তায় এবং এটি পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপরেও একধরণের চাপ তৈরী হয়।
বাংলাদেশের গৃহীত বৈদেশিক ঋণের মধ্যে বেশিরভাগ হচ্ছে সরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ। ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে সরকারি খাতে বৈদেশিক ঋনের পরিমাণ ছিল ৯৭৩.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২৩-২৪ এসে দাঁড়িয়েছে মোট ৭৮.১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার-যা জিডিপি’র প্রায় ১৭.০৩ ভাগ। উল্লেখ্য যে, সরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের ৮৮ ভাগই হচ্ছে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকৃতির ঋণ। দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সূত্র হতে প্রাপ্ত এ সব মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের বেশির ভাগই নমনীয় শর্তের আওতাধীন ঋণ। এ ধরণের ঋণের গড় গ্রেস পিরিয়ড হচ্ছে ৭.৬ বছর এবং ভারিত গড় পরিশোধকাল হচ্ছে ২২.৫ বছর। (সূত্রঃ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্য প্রবাহ-২০২৪)।
বাংলাদেশকে ঋণ পরিশোধের ব্যয় বাবদ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৩৭১.৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে। যার মধ্যে আসলের পরিমাণ ছিল ২০২১.৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সুদের পরিমাণ ছিল ১৩৪৯.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক সংস্থাকে দিতে হয়েছে ২৪১৪.৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দ্বি-পাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিদের পরিশোধ করতে হয়েছে ৯৫৭.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যাত্রায় উন্নয়ন সহযোগিদের প্রদেয় বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বিশ্বজুড়ে আর্থিক খাতে বিগত বেশ ক’বছর ধরেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। উন্নয়ন সহযোগীদের অগ্রাধিকার ও কৌশলগত পরিবর্তন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা (সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারীর ধাক্কা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ), বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্যের ওঠানামা, খাদ্য নিরাপত্তাজনিত সংকট এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রের পরিবর্তন বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রমকে কঠিন হতে কঠিনতর করে তুলছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ ঘাটতি মেটানো, লেনদেনের ভারসাম্য আনয়নের লক্ষ্যে পরিবেশগত পরিবর্তন, উন্নতর প্রযুক্তির হস্তান্তর, মানব সম্পদ উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন  ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সমূহের জন্য বাংলাদেশের বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। এ লক্ষ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশীয় প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তির দলিলাদি প্রণয়ন করে বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা প্রাপ্তির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। শুধু বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তিই নয়, প্রাপ্ত বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার সঠিক ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশীয় প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বৈদেশিক সহায়তাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের উন্নয়ন সামর্থ গড়ে তুলতে হবে, তবেই দীর্ঘমেয়াদে কাংখিত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
লেখকঃ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত।












http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
আসন বিন্যাসের খসড়ায় কার লাভ, কার ক্ষতি
যা আছে খসড়া পুন:বিন্যাসে
সীমানা নির্ধারণে দাবি-আপত্তির সুযোগ ১১ দিন
তিতাসে ১৫ দিন যাবৎ দলিলের নকল সরবরাহ বন্ধ : ভোগান্তি দুই হাজার গ্রাহক
কুঁচিয়া বিক্রির টাকায়সংসার চলে নরেশের
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
আসন বিন্যাসের খসড়ায় কার লাভ, কার ক্ষতি
মহাসড়কের কুমিল্লায় ডাকাত ও ছিনতাইকারীর আতঙ্ক
দাউদকান্দিতে সরকারী মার্কেটের জায়গা অবৈধ দখলের মহোৎসব
কুমিল্লায় ঘর থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
ভারতে অনুপ্রবেশের অপরাধে বাংলাদেশী যুবক আটক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২