দাউদকান্দি
উপজেলার গৌরীপুর বাজারে নির্মাণাধীন সরকারী মার্কেটের জায়গা অবৈধভাবে
দখলের মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অদৃশ্য কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জনমনে ক্ষোভের
সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার গৌরীপুর বাজারে জিসি টু
স্টোরেড রোরাল মার্কেটিং বিল্ডিং ( উইথ ফোর স্টোরেড ফাউন্ডেশন) নির্মাণ
কাজটি চলমান। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মার্কেট নির্মাণ কাজটি বাস্তবায়ণ
করছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। গৌরীপুর বাজারের ১০৯ নং নোয়াগাও
মৌজার ৩১৩ দাগের ০.২১৩৭ একর ভুমির উপর নির্মাণ কাজ চলমান থাকা অবস্থায়
স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাকের্টের জায়গায় রাতের আধাঁরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ
করছে।
এনিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছে।
চিঠিতে
উল্লেখ করা হয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জমির উপর ১০৯ নং নোয়াগাও মৌজার ৩১৩
দাগের ০.২১৩৭ একর ভুমির উপর মৌজাম্যাপ চিহ্নিত করে ভবন নির্মাণ কাজ চলমান
রয়েছে। নির্মাণ কাজটি চলমান থাকা অবস্থায় অবৈধ দখল নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ
কাজ শুরু করায় প্রকল্পটি নির্মাণ কাজে জটিলতা শুরু হয়। অবৈধ দখলকারী
দোকানের স্থলে নির্মাণাধীন সরকারী মার্কেটের সিড়ি, সেপটিক ট্যাংক ও ভবনে
প্রবেশের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। চিঠিতে নির্মাণাধীন ভবনের জায়গায় অবৈধ
দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,
নির্মাণাধীন ভবনের পশ্চিম পাশে যেখানে সেপটিক ট্যাংক, সিড়ি ও চলাচলের পথের
জায়গায় লোহার এ্যাংগেল দিয়ে ঘর নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। আরেক পাশে ইটের
গাথুনি দিয়ে অবৈধ দখল চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের একাধিক
ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেটে চলাচলের পথ, পানির ড্রেন ও সেপটিক ট্যাংকের জায়গার
যে যেভাবে পারছে দখল করছে। মনে হয় দেশে কোন প্রশাসন নাই। যারা দখল করছে
তারা নাকি অনেক টাকা খরচ করে সবাইকে ম্যানেজ করেই লিজ নিয়েছে। মার্কেটের
জায়গা আবার লিজ হয় কি করে ?
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন,
আমরা উপজেলা প্রশাসনকে চিঠির মাধ্যমে অবৈধ দখল বন্ধ করতে অনুরোধ করেছি।
মার্কেটের জায়গাটি অবৈধ দখল মুক্ত করা না হলে ড্রয়িং অনুযায়ী কাজটি শেষ করা
যাবে না। আর ভবনটির সিড়ি, ড্রেন ও চলাচলের পথ থাকবে না, সেই সাথে সেপটিক
ট্যাংকটি ঝুঁকির মুখে থাকবে। ২০২১ সালে ৩১৩ দাগের পুরো ২১.৩৭শতক জায়গা
মার্কেটের নামে অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে মার্কেট নির্মাণ কাজ
শুরু হয়েছে। শুনেছি একসনা বন্দোবস্ত দেয়ার পায়তারা চলছে। যেখানে মার্কেটের
জন্য অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়েছে সেই একই জায়গা আবার একসনা বন্দোবস্তো হয় কি
করে সেই বিষয়টি বোধগম্য নই।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাঈমা
ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে বিষয়টি
জানিয়েছে। যেহেতেু বিগত সময়ে বন্দোবস্ত হয়েছে, তাই নকশা দেখে কতটুটু জায়গা
মার্কেটের জন্য ছিল, মার্কেটের জন্য জায়গা থাকলেওতো কিছু জায়গা
চান্দিনাভিটির জন্য থাকে পেরিফেরিভূক্ত হলে। যেহেতেু একসনা বন্দোবস্ত যে
কোন সময় তা বাতিলযোগ্য। তাই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।