সংসদীয়
আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণের বিষয়ে দাবি-আপত্তি জানাতে ১১ দিন সময় দিয়েছে
নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার
নাগরিকদের কাছ থেকে দাবি-আপত্তি আহ্বান করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচনের সীমানা সংক্রান্ত এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইসি।
বিজ্ঞপ্তিতে
ইসি জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ এর দফা (১)
এর উপ-দফা (গ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন,
২০২১ এর ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১)(খ) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ-সদস্যের নির্বাচন
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী এলাকাসমূহের সীমানা উপরোক্ত
আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা
এবং জনসংখ্যার বাস্তব বিভাজনকে যতদূর সম্ভব বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক
নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী
নির্বাচন কমিশন একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে এবং তালিকাটি সম্পর্কে
সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে লিখিত
দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত আহ্বান করেছে।
ইসি আরও জানায়, কোনো
সংক্ষুদ্ধ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে কোনো আসনের
পুনঃনির্ধারিত নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত
দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত পেশ করতে পারবেন। তবে দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত
এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কোনো আসনের সীমানা সংক্রান্ত হতে হবে এবং
দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত ৫ প্রন্থ দাখিল করতে হবে।
নির্ধারিত তারিখের পর কোনো দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত
গ্রহণ করা হবে না। সীমানা পুনঃনির্ধারণে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেছে
সংস্থাটি।
ক. পার্বত্য এলাকার ৩ জেলার ৩টি আসন অপরিবর্তনীয় রাখা;
খ. ২
আসন বিশিষ্ট জেলার আসন সংখ্যা অপরিবর্তীত রাখা; কারণ ভোটার/জনসংখ্যার
অনুপাতে আসন বৃদ্ধি করলে অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস (জেলাভিত্তিক ভোটারের জাতীয়
গড়ের তুলনায়) পায়। আবার ২টি আসন-কে ১টি আসনে হ্রাস করলে ভোটার সংখ্যা গড়ের
তুলনায় অনেক বেড়ে যায়;
গ. ৩ আসন বিশিষ্ট জেলার আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা। আসন হাস/বৃদ্ধিতে ভোটার/জনসংখ্যার অনুপাতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে পড়ে;
ঘ. যেসব আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য কোনো আবেদন দাখিল হয়নি সে আসনগুলো অপরিবর্তীত রাখা;
ঙ. প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার গণ্যে উপজেলা/খানা ইউনিটকে যতদূর সম্ভব অখণ্ড রাখা;
চ. জেলার মধ্যকার আসনের ভোটার সংখ্যা সবোর্চ্চ ৩০% ব্যবধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা;
ছ. যতদূর সম্ভব, প্রশাসনিক ও নির্বাচনী সুব্যবস্থার বিষয় বিবেচনায় রেখে উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের অখণ্ডতা বজায় রাখা;
জ. ইউনিয়ন, সিটি কপোরেশনের ওয়ার্ড ও পৌরসভার একাধিক সংসদীয় আসনের মধ্যে বিভাজন না করা;
ঝ. সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনসংখ্যা, ভোটার সংখ্যা, প্রশাসনিক পরিধি বিবেচনায় নির্বাচনী এলাকা পুনঃবিন্যাস করা:
ঞ. যতদূর সম্ভব, সীমানা পুনঃনির্ধারণকালে সংশ্লিষ্ট জনগণের সেবা বিষয়ক সুবিধা/অসুবিধার বিষয় বিবেচনা করা;
ট.
যতদূর সম্ভব, ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য (যথা-নদী) ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
(যথা-রাস্তাঘাট) তথা জনগণের যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধা ও অসুবিধা বিবেচনা
করা; এবং
ঠ. যেসব প্রশাসনিক এলাকা নতুন সৃষ্টি হয়েছে বা সম্প্রসারণ
হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়েছে তা অন্তর্ভুক্ত/কর্তন করা এবং পরিবর্তিত নাম সংশোধন
করা।