নিজস্ব
প্রতিবেদক: ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার। এখন
বছরের যেকোনো সময়ে চাইলে হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করতে পারবে ইসি। এর ফলে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে খসড়া প্রকাশের বাধা কেটে গেল।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এ অধ্যাদেশ জারি করে।
নতুন সংশোধন আসায় তফশিল ঘোষণার আগে বছরের যেকোনো সময় ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সংশোধন করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশ করার পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বিধান ছিল।
ত্রয়োদশ
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বছর ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার
তালিকা হালনাগাদ করে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন। জুনের মধ্যে ভোটারযোগ্য আরও
সাড়ে ৪৪ লাখ ভোটারের তথ্য নিবন্ধন করে। কিন্তু এ হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ
নিয়ে বিপত্তি বাধে।
এমন পরিস্থিতিতে বছরের যে কোনো সময় ইসি যেন তালিকা প্রকাশ করতে পারে এমন বিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গত
১৭ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদ এ সংক্রান্ত সংশোধন এনে ভোটার তালিকা আইনে খসড়া
অধ্যাদেশ অনুমোদন করে। তাতে তফসিলের আগে ভোটারদের তালিকাভুক্ত করে তা
প্রকাশের বিধান যুক্ত করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ সংশোধন
অধ্যাদেশ জারি হলো। এর ফলে তফশিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন চাইলে বছরের
যেকোনো সময় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত এবং তালিকা প্রকাশ করার ক্ষমতা পেল।
যে সংশোধন এল:
২০০৯
সনের ৬ নং আইনের ধারা ৩-এর সংশোধন সংক্রান্ত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ভোটার
তালিকা আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩-এর দফা (জ)-এ ‘জানুয়ারি মাসের পহেলা তারিখ’
শব্দগুলির পর ‘কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ’ শব্দগুলি সন্নিবেশিত
হবে।
এ ছাড়া ২০০৯ সনের ৬ নং আইনের ধারা ১১ সংশোধন করে নতুন উপধারা (১) যোগ করা হয়েছে।
যেখানে
বলা হয়েছে, ‘(১) কম্পিউটার ডাটাবেজে সংরক্ষিত বিদ্যমান সকল ভোটার তালিকা,
প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত অথবা তফশিল ঘোষণার পূর্বে ধারা
৩-এর দফা (জ)-এর অধীন ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদ
করা হবে। যথা: (ক) যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে কিন্তু ভোটার হিসেবে
নিবন্ধিত হয়নি, তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করা; (খ) যেসব ভোটার মৃত্যুবরণ
করেছেন বা অযোগ্য হয়েছেন, তাদের নাম কর্তন করা এবং (গ) যারা এলাকার
পরিবর্তন করেছেন, তাদের নাম আগের তালিকা থেকে কেটে করে নতুন এলাকার তালিকায়
অন্তর্ভুক্ত করা। তবে শর্ত থাকে যে, উপরের সময়সীমায় হালনাগাদ না হলেও
ভোটার তালিকার বৈধতা বা ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে না।’
ভোটার তালিকা আইন,
২০০৯-এর ধারা (জ)-এ বলা ছিল, ‘যোগ্যতা অর্জনের তারিখ’ অর্থ এই আইনের অধীন
প্রতিটি ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন বা হালনাগাদের ক্ষেত্রে সেই বছরের ১
জানুয়ারি। এ বিধান অনুযায়ী, ১ জানুয়ারির পরে যারা ১৮ বছর পূর্ণ করতেন তারা
ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারতেন না।