নিজস্ব
প্রতিবেদক: চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা
প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিন ধাপে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে। এবার আবেদন ফি
নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০টি। আবেদন, শিক্ষার্থী নির্বাচন, নিশ্চায়ন ও চূড়ান্ত
ভর্তি শুরু হবে। সেশন চার্জ ও ভর্তির ফি কোন এলাকার কলেজে মোট কত টাকা
হবে, তাও নীতিমালায় নির্ধারণ করে দিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার।
প্রকাশিত
নীতিমালা অনুযায়ী- ঢাকা মহানগর এলাকার এমপিওভুক্ত কলেজের ক্ষেত্রে (বাংলা ও
ইংরেজি ভার্সন) গতবারের মতোই ৫ হাজার টাকা ফি দিতে হবে।
ঢাকা মহানগর
ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকার এমপিওভুক্ত কলেজে তিন হাজার টাকা, জেলা
পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই হাজার টাকা এবং উপজেলা বা মফস্বল এলাকার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেড় হাজার টাকা করে নেওয়া যাবে।
অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর
এলাকায় অবস্থিত, কিন্তু এমপিওভুক্ত নয়- এমন কলেজের ক্ষেত্রে বাংলা ভার্সনে
আগের মতো সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে ৮ হাজার টাকা ভর্তি ফি
নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর ছাড়া দেশের অন্যান্য মহানগর এলাকায়
অবস্থিত নন-এমপিওভুক্ত কলেজে বাংলা ভার্সনে ৫ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ৬
হাজার টাকা ভর্তি ফি দিতে হবে।
একই ধরনের জেলা পর্যায়ের কলেজে বাংলা
ভার্সনে তিন হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা এবং উপজেলা বা
মফস্বল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা এবং ইংরেজি
ভার্সনে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চয়ন করার সময় শিক্ষার্থীপ্রতি
বিভিন্ন খাতে সর্বমোট ৩৩৫ টাকা আগের মতো রাখা হয়েছে। খাতগুলো হলো-
রেজিস্ট্রেশন ফি ১৪২ টাকা, ক্রীড়া ফি ৫০ টাকা, রোভার বা রেঞ্জার ফি ১৫
টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৬ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, বিএনসিসি
ফি ৫ টাকা এবং শিক্ষক কল্যাণ তহবিল ও অবসর সুবিধা ভাতা ফি ১০০ টাকা।
গত
১০ জুলাই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন
১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী। তবে সারাদেশে কলেজ, মাদরাসা, পলিটেকনিক ও
কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য আসন রয়েছে সাড়ে ৩৩ লাখ। সেই হিসাবে সব
শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও আসন শূন্য থাকবে প্রায় ২০ লাখ।