কুমিল্লায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩১ডিসেম্বর) বাদ আছর নগরীর টাউনহল মাঠে এ জানাজায় বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেয়।
জানাজা
শেষে বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত
হয়। ঢাকায় জানাজার নামাজে অংশ নিতে না পারা নেতাকর্মীরা কুমিল্লার গায়েবানা
জানাজার ব্যবস্থা করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এদিকে বেগম
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে
এসেছে। কুমিল্লার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী
সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ
হিসেবে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা
উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ ও কোরআন খতমের আয়োজন করে বিএনপি। পাশাপাশি জেলা
জুড়ে শোক ব্যানার টাঙানো হয়। রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা থাকায় জানাজার আগ পর্যন্ত
ওষুধ ও খাবারের দোকান ছাড়া নগরীর অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন
ব্যবসায়ীরা।
জানাজা শেষে নেতা কর্মীরা বলেন, তিন বারের সাবেক
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপোষহীন নেত্রী, তার মৃত্যুতে
কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষ শোকাহত। আমরা এমন একজন নেত্রীকে হারিয়েছি যার
বিকল্প আর কেউ নেই, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস রেখে গেছেন, রেখে গেছেন তার
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন দর্শন যা রাজনীতিতে সকলের জন্য অনুকরণীয় হয়ে
থাকেবন। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে নানা নির্যাতন জুলুমের
শিকার হয়েছিলেন তারপরও তিনি দেশ ছেড়ে যাননি। দলমত নির্বিশেষ আজ সারা দেশের
মানুষ শোকাহত। আমরা তাঁর বিদায়ী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
গতকালমঙ্গলবার
(৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে
তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বুধবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ
প্লাজায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সাবেক
রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-এর কবরের পাশে দেশনেত্রী বেগম
খালেদা জিয়াকে সমাহিত করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বুড়িচং উপজেলা
বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নান, সদর উপজেলা বিএনপির
সদস্য ইকবাল হোসেন চন্নু, দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. খোরশেদ
আলম মোল্লা, কাজী কাদের,ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন মেম্বার,
ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালামসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও
সামাজিক ব্যক্তিবর্গ।
