বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার ছেলে তারেক রহমানকে
চিঠি লিখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জানিয়েছেন ‘নতুন সূচনার’
প্রত্যাশা। তিনি লিখেছেন, খালেদা জিয়ার প্রস্থান ‘অপূরণীয় শূন্যতা’ সৃষ্টি
করলেও তার দৃষ্টিভঙ্গি ও উত্তরাধিকার টিকে থাকবে।
“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস
করি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে আপনার (তারেক রহমান) দক্ষ নেতৃত্বে তার
(খালেদা জিয়া) আদর্শ এগিয়ে নেওয়া হবে এবং ভারত ও বাংলাদেশের গভীর ও
ঐতিহাসিক অংশীদারত্বকে আরও সমৃদ্ধ করতে তা পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে-নতুন
সূচনা নিশ্চিত করবে।”
মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা
যান বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এর পরপরই এক এক্স
পোস্টে শোক জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
এরপর রোববারই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যানকে আনুষ্ঠানিক পত্র দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুধবার ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা
জানানোর পাশাপাশি ভারত সরকারের শোকবার্তা তারেক রহমানের কাছে হস্তান্তর
করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ‘প্রিয় তারেক রহমান সাহেব’
সম্বোধন করে মোদী লিখেছেন, “আপনার মা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন মহামান্য বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণের
খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই গভীর ব্যক্তিগত শোকের সময়ে আমার আন্তরিক
সমবেদনা গ্রহণ করুন। তার আত্মা চিরশান্তিতে বিশ্রাম নিক-এই কামনা করি।”
২০১৫
সালের জুনে ঢাকায় ‘বেগম সাহেবার’ সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনা কথা স্মরণ করে
মোদী বলেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) ছিলেন দৃঢ় প্রত্যয়ী ও অটল বিশ্বাসের এক
বিরল নেতৃত্ব, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন
করেছিলেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে যেমন তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তেমনি
ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার করতেও তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।”
এই শোকের মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিও সহমর্মিতা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি
লিখেছেন, “ইতিহাসজুড়ে তারা (বাংলাদেশের মানুষ) যে অসাধারণ শক্তি ও
মর্যাদাবোধের পরিচয় দিয়েছেন, তা স্মরণযোগ্য। আমি নিশ্চিত, অভিন্ন মূল্যবোধ,
গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং গভীর জাতীয় ঐক্যের চেতনা তাদের শান্তি ও
সম্প্রীতির পথে এগিয়ে যেতে অব্যাহতভাবে পথ দেখাবে।”
তারেককে লেখা চিঠির
শেষে মোদী বলেছেন, “আরও একবার আমার আন্তরিক সমবেদনা গ্রহণ করুন। এই কঠিন
সময়ে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে সৃষ্টিকর্তা যেন ধৈর্য ও শক্তি দান করেন-এই
প্রার্থনা করি। আপনার ভবিষ্যৎ কাজের জন্যও আমার শুভকামনা রইল।”
