বিএনপি
চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় ইমামতি করেছেন বায়তুল মোকাররম
জাতীয় মসজিদের খতিব ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ আল্লামা মুফতি
আবদুল মালেক। বুধবার (৩১ ডিসেম্ব) বিকেল ৩টা ৩মিনিটে রাজধানীর মানিক মিয়া
অ্যাভিনিউতে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
লাখো মানুষের অশ্রু আর গুমরে মরা
কান্নায় সম্পন্ন হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, বিদেশি কূটনীতিক,
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এদিন
সকাল থেকেই প্রিয় নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে আসা লাখো মানুষের ঢল নামে জানাজাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায়।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ছাড়িয়ে জনস্রোত খামারবাড়ি, আসাদগেট এবং ফার্মগেট
এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পরে বিকাল ৩টা তিন মিনিটে অটুষ্ঠিত হয় জানাজা।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল
মালেক।
জানা গেছে, ইমাম মুফতি আবদুল মালেক ১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট
কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার সারাশপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের
মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার বাবা শামসুল হক একজন আলেম ছিলেন।
হাদিসশাস্ত্রসহ
বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি বাংলাদেশসহ পুরো মুসলিম
বিশ্বে সুপরিচিত। তিনি আব্দুর রশীদ নোমানীর কাছে তিন বছর উচ্চতর
হাদিসশাস্ত্র এবং আলেম তাকি উসমানির কাছে দুই বছর ফিকহশাস্ত্র অধ্যয়ন
করেছেন। পরবর্তীতে সৌদি আরবে আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর সাথে আড়াই বছর
হাদিসশাস্ত্রে গবেষণামূলক কাজ করেন।
১৯৯৮ সালে তার রচিত আল মাদখাল ইলা
উলুমিল হাদিসিশ শরিফ প্রকাশিত হয়, যা বিভিন্ন দেশে পাঠ্যবই হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মারকাযুদ দাওয়াহ আল
ইসলামিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা, বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব ও
উচ্চতর হাদিস বিভাগের প্রধান। এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্র হিসেবে ২০০৫ সালে
তার তত্ত্বাবধানে মাসিক আল কাউসার প্রকাশিত হয়। ২০১২ সালে তিনি বাংলাদেশ
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের সদস্য মনোনীত হন। এছাড়াও তিনি ভারতের ইসলামি
ফিকহ একাডেমির সদস্য।
