
বয়স
৫৮ বছর। এই বয়স সাধারণত নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ঘরের উঠোনে বসে গল্প করার।
কিন্তু জাপানের ফুটবল কিংবদন্তি কাজুয়োশি মিউরা অন্য ধাঁচে গড়া। আগামী
ফেব্রুয়ারিতে ৫৯ বছরে পা দিতে যাওয়া ‘কিং কাজু’ নতুন করে একটি তৃতীয় স্তরের
ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। জাপানি ক্লাব ফুকুশিমা ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে
এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ফুটবলের প্রতি তার আবেগ আগের মতোই অটুট রয়েছে।
‘কিং
কাজু’ নামে পরিচিত মিউরা আগামী জুন মাস পর্যন্ত ধারে ফুকুশিমার হয়ে
খেলবেন। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এটি তার ৪১তম মৌসুম হতে যাচ্ছে। তার নতুন
ক্লাব থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মিউরা বলেন, ‘আমার বয়স যত বাড়ুক না কেন,
ফুটবলের প্রতি আমার আবেগ বদলায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফুকুশিমায় খেলার সুযোগ
পেয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এবং ফুকুশিমা ইউনাইটেডের একজন সদস্য হিসেবে আমি
জানপ্রাণ দিয়ে লড়ব। চলুন একসাথে ইতিহাস গড়ি!’
মিউরা গত মৌসুম কাটিয়েছেন
চতুর্থ স্তরের দল আতলেতিকো সুজুকায়। সেখানে তিনি সাতটি ম্যাচ খেলেন, তবে
দলটি পয়েন্ট তালিকার তলানির দিক থেকে দ্বিতীয় হওয়ায় এবং প্লে-অফে হেরে
যাওয়ায় জাপানের আঞ্চলিক লিগে নেমে গেছে। ফুকুশিমায় যোগ দেওয়ার মাধ্যমে
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর তিনি জাপানি ফুটবলের শীর্ষ তিন স্তরের লিগ বা জে লিগে
ফিরছেন।
গত মৌসুমে ২০টি দলের মধ্যে দশম স্থানে থাকা ফুকুশিমার হয়ে মিউরা
বলেন, তিনি একটি ‘নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে’ প্রস্তুত। তার কথা, ‘ফুকুশিমা
ইউনাইটেডের সকল খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, ভক্ত, স্পন্সর এবং স্থানীয় জনগণের
কাছে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, দলের অবদান রাখতে আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে
খেলব।’
মিউরার পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল ১৯৮৬ সালে ব্রাজিলের দল
সান্তোসে। এরপর তিনি ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের বিভিন্ন
ক্লাবে খেলেছেন। ১৯৯৩ সালে পেশাদার জে লিগ চালু হওয়ার পর জাপানি ফুটবলকে
বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
১৯৯০ সালে
জাপানের জাতীয় দলে তার অভিষেক হয়। দেশের হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৫৫টি গোল করা
সত্ত্বেও ১৯৯৮ সালে জাপানের প্রথম বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে তাকে বাদ দেওয়া
হয়েছিল।
