
খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রী
হওয়াটা মোটামুটি অবধারিতই ছিল। বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির যে
ধারা, সেখানে একজন বেগমের মন্ত্রী-এমপির চেয়ারে বসা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা
নয়। কিন্তু খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির অন্য বেগমদের মতো নন। তিনি এমন
একটি স্বকীয়তা নির্মাণ করেছেন-যেখানে দেশপ্রেম, সাহস ও আপসহীনতাই তার
রাজনীতির প্রধান ভাষা হয়ে দাঁড়ায়। জীবনে কোনোদিন কোনো নির্বাচনে যার
পরাজয়ের কোনো ইতিহাস নেই। ক্রিকেটের অপরাজিত ব্যাটারের মতো বাংলাদেশের
রাজনীতি ও ভোটের খেলায় খালেদা জিয়া শেষ বল পর্যন্ত ক্রিজে থাকা একজন নট আউট
ব্যাটার। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের রাজনীতিতেই বিরল।
১৯৮১
সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নিহত হওয়ার পরে ১৯৮২
সালের ২ জানুয়ারি সাধারণ সদস্য হিসাবে বিএনপিতে যোগ দেন তার স্ত্রী বেগম
খালেদা জিয়া। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং
১৯৮৪ সালের অগাস্টে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
খালেদা জিয়া প্রথম
নির্বাচনে অংশ নেন রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ৯ বছর পরে। বন্দুকের নলের মুখে
ক্ষমতা গ্রহণকারী এরশাদের পতনের পরে ১৯৯১ সালে নির্দলীয় সরকারের অধীনে
অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৬ সালের
কারচুপির নির্বাচনের বিরোধিতা করেন খালেদা জিয়া। যদিও আওয়ামী লীগ, জামায়াতে
ইসলামী এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মতো রাজনৈতিক দলগুলো ওই
নির্বাচনে অংশ নেয়।
১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচটি নির্বাচনের
প্রতিটিতেই বেগম জিয়া তিন থেকে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং
সবগুলো আসনেই তিনি জয়লাভ করেন। অর্থাৎ তার নির্বাচনের খেলায় তার পরাজয়ের
কোনো ইতিহাস নেই। প্রতিটি নির্বাচনে তিন থেকে পাঁচটি আসন থেকে তার
প্রতিদ্বন্দ্বিতার মূল কারণ ছিল সংশ্লিষ্ট আসনগুলোয় বিএনপির বিজয় নিশ্চিত
করা।
২০০৮ সালের পরে আরও তিনটি নির্বাচন হলেও তার কোনোটিতে অংশ নেননি
খালেদা জিয়া। বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ
নির্বাচন বর্জন করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও দুর্নীতি
মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি বেগম জিয়া। এরপর
২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বিএনপি বয়কট করে।
খালেদা
জিয়া প্রথম নির্বানে অংশ নেন ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এই নির্বাচনে বিএনপি আসন পায় ১৪০টি। জামায়াতের
সমর্থন নিয়ে তারা সরকার গঠন করে এবং দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
দায়িত্ব নেন খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসন
থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটিতে জয়ী হন। এগুলো হচ্ছে বগুড়া ৭, ঢাকা ৫ ও
৯, ফেনী ১ ও চট্টগ্রাম ৮।
এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে বগুড়া ৭ আসনে খালেদা
জিয়া ভোট পান ৮৩ হাজার ৮৫৪টি। যা প্রদত্ত ভোটের ৬৬.৮৮ শতাংশ। এখানে খালেদা
জিয়ার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের টি এম মুস্তা পেস্তা। তিনি
পান ২৪ হাজার ৭৬০ ভোট।
একানব্বইয়ের নির্বাচনে ফেনী ১ আসনে খালেদা জিয়া
ভোট পান ৩৬ হাজার ৩৭৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাকারিয়া
ভুঞা পান ২৩ হাজার ২৫০ ভোট।
ঢাকা ৫ আসনেও খালেদা জিয়া জয়ী হন। এখানে
তিনি ভোট পান ৭১ হাজার ২৬৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের
সাহারা খাতুন পান ৪৫ হাজার ৮১১ ভোট।
ঢাকা ৯ আসনেও বিজয়ী খালেদা জিয়া।
ভোট পেয়েছিলেন ৫৫ হাজার ৯৪৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের
সাজেদা চৌধুরী পান ২৯ হাজার ৪৬৪ ভোট।
একানব্বইয়ের নির্বাচনে খালেদা জিয়া
চট্টগ্রাম ৮ আসনে পান ৬৯ হাজার ৪২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী
লীগের মো. ইসহাক মিঞা পান ৪৪ হাজার ১৫৪ ভোট।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী
হয়ে বিএনপি সরকার গঠনের তিন বছরের মধ্যেই দেশে শুরু হয় নির্বাচনকালীন
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধী দলগুলোর তীব্র আন্দোলন-যার
নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। ফলে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ১৯৯৬ সালের ১৫
ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংবিধান সংশোধন করে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করার জন্য নিয়ম রক্ষার এই নির্বাচন বর্জন
করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক
দলগুলো। বিএনপি ছাড়া এই নির্বাচনে অংশ নেয় কেবল ফ্রিডম পার্টি। ১৯৯৬ সালের
১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে-বিদেশে সমালোচিত
হলেও সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যুক্ত করা হয় এই
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদে। এই সরকারের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন।
নির্দলীয়
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯৬ সালের ১২
জুন। এই নির্বাচনে ১৪৬টি আসন পায় আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে
তারা সরকার গঠন করে। ১১৬টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হয় বিএনপি। তবে এই
নির্বাচনেও যে পাঁচটি আসনে খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তার
সবগুলোতেই তিনি জয়ী হন। এগুলো হচ্ছে বগুড়া ৬ ও ৭, ফেনী ১, লক্ষ্মীপুর ২ ও
চট্টগ্রাম ১।
বগুড়া ৬ আসনে তিনি ভোট পান ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৬৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের গোলাম রব্বানী পান ৪৬ হাজার ৯১৭ ভোট।
বগুড়া ৭ আসনে খালেদা জিয়া পান ১ লাখ ৭ হাজার ৪১৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ওয়ালিউল হক পান ২৫ হাজার ২৭৮ ভোট।
ফেনী ১ আসনে খালেদা জিয়া ভোট পান ৬৫ হাজার ৮৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ওয়াজী উদ্দিন ভুইয়া পান ২৪ হাজার ১৩৮ ভোট।
লক্ষ্মীপুর
২ আসনে খালেদা জিয়া ভোট পান ৫৯ হাজার ৫৪টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী
আওয়ামী লীগের তোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী পান ২৬ হাজার ৯৩৭ ভোট।
চট্টগ্রাম ১
আসনে খালেদা জিয়া পান ৬৬ হাজার ৩৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী
লীগের ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন পান ৬২ হাজার ৪৩ ভোট।
২০০১ সালের পয়লা
অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৩টি আসনে জয় নিয়ে পুনরায়
সরকার গঠন করে বিএনপি। এই নির্বাচনেও খালেদা জিয়া পাঁচটি আসন থেকে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব কটিতে জয়ী হন। এগুলো হচ্ছে বগুড়া ৬ ও ৭, খুলনা ২,
ফেনী ১ ও লক্ষ্মীপুর ২।
বগুড়া ৬ আসনে তিনি ভোট পান ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মাহবুবুল আলম পান ৫৫ হাজার ৭৭৭ ভোট।
বগুড়া ৭ আসনে ভোট পান ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫২২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কামরুন নাহার পুতুল ভোট পান ৩৫ হাজার ৬৫৬টি।
খুলনা ২ আসনে খালেদা জিয়া ভোট পান ৯১ হাজার ৮১৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মঞ্জুরুল ইমাম পান ৬২ হাজার ২১ ভোট।
ফেনী ১ আসনে বেগম জিয়ার ভোট সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ১৪৯। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাফর ইমাম পান ৩৬ হাজার ৭৬৩ ভোট।
লক্ষ্মীপুর
২ আসনে খালেদা জিয়া পান ১ লাখ ২৩ হাজার ৫২৬ ভোট। তার নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদ পান ৪৪ হাজার ৯৭৪ ভোট।
২০০৮
সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হলেও
যে তিনটি আসনে খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তার সবগুলোতেই তিনি জয়ী
হন। এই নির্বাচনের আগে নির্বাচনি আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে একজন
প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন বলে বিধান
করা হয়। খালেদা জিয়া এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বগুড়া ৬ ও ৭ এবং
ফেনী ১ আসন থেকে।
বগুড়া ৬ আসনে তিনি পান ১ লাখ ৯৩ হাজার৭৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মমতাজউদ্দিন পান ৭৪ হাজার ৬৩৪ ভোট।
বগুড়া ৭ আসনে তিনি ভোট পান ২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৮টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আলতাব আলী পান ৯২ হাজার ৮৩৯ ভোট।
ফেনী ১ আসনে বেগম জিয়ার ভোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৮২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ফয়েজ আহাম্মদ পান ৫৮ হাজার ৫৫১ ভোট।
ভোটের ব্যবধান
খালেদা
জিয়ার পাঁচটি নির্বাচন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তিনি সবচেয়ে বেশি ভোটের
ব্যবধানে জিতেছেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে বগুড়া ৭ আসনে। এই আসনে তার নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আলতাব আলীকে তিনি হারান ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯১৯
ভোটে।
অন্যদিকে খালেদা জিয়া সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন ১৯৯৬
সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১ আসনে। এই
আসনে তিনি আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে
পরাজিত করেন মাত্র ৪ হাজার ২৯৩ ভোটে।
কাদেরকে হারিয়েছেন
আওয়ামী লীগের
হেভিওয়েট প্রার্থী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, সাহারা
খাতুনসহ ১৬ জন প্রার্থীকে হারিয়েছেন খালেদা জিয়া। তারা হলেন টি এম মুস্তা
পেস্তা, জাকারিয়া ভুঞা, মো. ইসহাক মিঞা, ওয়ালিউল হক, ওয়াজী উদ্দিন ভুইয়া,
তোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী, মাহবুবুল আলম, কামরুন নাহার পুতুল, মঞ্জুরুল ইমাম,
জাফর ইমাম, হারুনুর রশিদ, মমতাজউদ্দিন ও ফয়েজ আহাম্মদ। এছাড়া জাতীয়
পার্টির আলতাব আলী ও জামায়াতের গোলাম রব্বানীকেও হারিয়েছেন খালেদা জিয়া। এই
পাঁচটি নির্বাচনে তার কাছে পরাজিত ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থী
তিন জন।
কেন বগুড়া ও ফেনী
খালেদা জিয়া যেসব আসনে ভোটের লড়াই করেছেন,
সেখানে বগুড়া ৭ ও ফেনী ১ আসন ছিল কমন। অর্থাৎ সবগুলো নির্বাচনেই তিনি এই
দুটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলা নিয়ে
গঠিত বগুড়া ৭ আসন। গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে
জন্মেছিলেন জিয়াউর রহমান। অর্থাৎ বগুড়া ৭ হচ্ছে খালেদা জিয়ার শ্বশুরবাড়ি
তথা স্বামীর এলাকা। আর পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী
১ আসন হচ্ছে তার পিতৃপুরুষের ভিটা। অর্থাৎ বাবার বাড়ি। খালেদা জিয়ার শৈশব
কেটেছে দিনাজপুরে। কিন্তু ওখানকার কোনো আসনে তিনি কখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করেননি। প্রথমবারের মতো এবারই, অর্থাৎ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
তিনি ফেনী ১ ও বগুড়া ৭ আসনের পাশাপাশি দিনাজপুর ৩ আসন থেকেও প্রার্থী
হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন দেশের প্রথম
নারী প্রধানমন্ত্রী, আপসহীন নেত্রী হিসেবে খ্যাত বেগম খালেদা জিয়া।
লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন।
