জামায়াতে
ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নির্বাচনী সমঝোতা হওয়ায়
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে এনসিপি নেতা
হাসনাত আব্দুল্লাহর জন্য জায়গা করে দিলেন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী
সাইফুল ইসলাম শহীদ।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে হাসনাত
আব্দুল্লাহর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা শেষে গণমাধ্যমে সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক পথচলা ও নেতাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা স্মরণ
করে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। এ সময় গণমাধ্যমের সামনে আবেগ
সামলাতে না পেরে কেঁদে ফেলেন জামায়াতের এ প্রার্থী। এ সময় উপস্থিত
জামায়াতের নেতাকর্মীরাও আবেগ আপ্লুত হয়ে অনেককে কাঁদতে দেখা গেছে।
এসময়
হাসনাত আব্দুল্লাহ ছাড়াও স্থানীয় জামায়াত ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি,
শহীদ পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য জোট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র
জমা শেষে সাইফুল ইসলাম শহীদ বলেন, “এই আসনের জন্য আমার নেতাকর্মীরা
দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন, ঘরে না ফিরে মাঠে থেকেছেন। তাদের সেই ত্যাগের কথা
মনে হলে আবেগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।” এ কথা বলতে গিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন
তিনি।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সংগঠনের সিদ্ধান্ত ও বৃহত্তর রাজনৈতিক
সমঝোতার স্বার্থে ব্যক্তিগত আবেগকে পেছনে ফেলে নির্বাচনে আমাদের সব রকমের
প্রস্তুতি থাকা স্বর্ত্তেও হাসিমুখে সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে জামায়াত
ইসলাম এ আসনে মনোয়নপত্র জমা দেয়নি। আমি জোটের প্রার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহকে
বিজয়ী করার জন্য কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশনার আলোকে আমাদের সকল
দায়িত্বশীল ও জনশক্তি যারা আছেন আমি আশা করব আমাকে যেভাবে আপনার্ াগ্রহন
করেছেন আমাদের প্রিয় ভাই হাসনাত আব্দুল্লাহকে আপনারা সেভাবে গ্রহন করে
নিবেন। আগামী দিনের একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমাণের ক্ষেত্রে আপনারা
ভূমিকা পালন করবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি থাকব। জামায়াতের এ প্রার্থী আরও
বলেন, দেবিদ্বারের প্রশ্নে, ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার
প্রশ্নে, জুলাই আন্দোলনের যে আকাঙ্খা সে আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য আমি আরও বড়
ধরণের সেক্রেফাইস করার জন্য প্রস্তুত আছি।
জামায়াতের প্রার্থীর মনোনয়ন
প্রত্যাহার প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, জামায়াত মনোনীত
প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদ ভাই আগেও জনপ্রতি ছিলেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের
পতনের পর তিনি দীর্ঘ দেড় বছর ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি পথে
প্রান্তরের ছুঁটে বেড়িয়েছেন, এ ত্যাগ কম না, তিনি জননন্দিত ও মানুষের জন্য
কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। শহীদ ভাই জোট ও ইনসাফের প্রশ্নে মনোনয়ন প্রত্যাহার
করে নিয়ে যে উদারতা পরিচয় দিয়েছেন আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম ইনসাফ ও দেশের
প্রতি আমাদের যে কমিটমেন্ট ওনার মনোনয়ন প্রত্যাহারের যে ত্যাগ সে মর্যাদা
আমরা রাখব। আমি সব সময় তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
