রণবীর ঘোষ কিংকর।
লিবারেল
ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি’র সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম
জামায়াতের সাথে জোট গঠন করায় সমালোচনা করেন দলটির সদ্য সাবেক মহাসচিব
বর্তমান বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ।
তিনি বলেন-
‘ক্ষমতার মোহে বীরত্বের জলাঞ্জলি দিয়েছেন খেতাব প্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা।
সারা জীবন তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে
তীব্র সমালোচনা করে আসছিলেন। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয়
প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়ে তিনি জামায়াতের নেতৃত্বে
গঠিত জোটে যোগদান করেছেন। যা তার সমস্ত রাজনৈতিক জীবনের নীতি পরিপন্থী।’
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার এতবারপুরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক
এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন- কর্নেল অলি জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ হবেন এমন
খোঁজ খবর পেয়ে আমি এর বিরোধীতা করে আসছিলাম। আমি এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার
বিষয়ে মতামত দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্তে অটুট থাকায় আমি বিএনপি’র
সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবহিত করি। পরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমান এর সম্মতিতে আমি ২৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি
বিএনপিতে যোগদান করি।
তিনি আরও বলেন- ‘কর্নেল অলি আহমেদ মুক্তিযুদ্ধে
দেশের পক্ষে জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করে দেশকে শত্রু মুক্ত করেন। তিনি
রাষ্ট্রীয় খেতাব পেয়েছেন। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে। রাজনৈতিক
জীবনে তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। হঠাৎ করে দেশ বিরোধী শক্তির
সাথে তার নির্বাচনী জোট গঠন সত্যিই দুঃখজনক।
গণসংযোগকালে অন্যদের মধ্যে
উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী শাখাওয়াত হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন বশির, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান, চান্দিনা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক
সভাপতি কাইউম খাঁন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।
দেশের
চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে জামায়াতে
ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি
(এলডিপি)-এর মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতার ঘোষণা। রোববার বিকেলে রাজধানীর জাতীয়
প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই সমঝোতার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে,
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থী ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো
নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পথে এগোচ্ছে।
