নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলে ব্যস্ত প্রার্থীরা। সেই সাথে মাঠে বাড়ছে নির্বাচনী তৎপরতা। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৩ প্রার্থী এবং উপজেলা ভিত্তিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ১৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ নিয়ে কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসন থেকে মোট ১৩৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
একই দিনে মনোনয়নপত্র দাখিলের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। জামায়াতের দুই প্রার্থীসহ মোট ৫ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
রবিবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুল আলম হেলাল, কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট ও লালমাই) আসনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসন থেকে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মিলন, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম মোস্তফা। এর আগে কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মোস্তফা সাজ্জাদ হোসেন।
এদিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তারা হলেন, কুমিল্লা-৫ আসনে এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থী জোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৬ আসন থেকে মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, এবং কুমিল্লা-৬ আসনে বাসদের প্রার্থী কামরুন নাহার সাথী।
এ পর্যন্ত কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসন থেকে মোট ১৩৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে বিএনপি। দলটির ১১টি আসন থেকে মোট ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া জামায়াতের ১২ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল শেষে একাধিক প্রার্থী বলেন, আমরা একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। জনগণের ভোটাধিকার যেন নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করা যায়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। তারা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকার মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তারা আশাবাদী।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন কুমিল্লার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। প্রার্থীরা যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি এবং আচারবিধি নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কোন দলের কতো প্রার্থী:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ৩১ টি
বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী ১২ টি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৮ টি
খেলাফত মজলিশ ৬ টি
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৭ টি
এনসিপি ২টি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ১ টি
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি১ টি
বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি১ টি
গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) ৫টি
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১ টি
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট৩ টি
বাংলাদেশ কংগ্রেস১ টি
গণফ্রন্ট২ টি
এনপিপি১ টি
জেএসডি৪ টি
জাতীয় পার্টি৭ টি
বাসদ১ টি
আমজনতার দল১ টি
ন্যাশনাল ডেমোক্রেট মুভমেন্ট ১ টি
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি ১ টি
এবি পার্টি ৪ টি
বিএসপি ১ টি
বিএনএফ ১ টি
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট)৪ টি
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ১ টি
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২টি
বৃহত্তর সুন্নি জোট ১ টি
ইনসিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ ৪ টি
ইসলামী ঐক্যজোট ১টি
স্বতন্ত্র ২৩টি।