
ম্যাচ
শুরুর আগেই সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকির মৃত্যুতে বড় ধাক্কা খায় ঢাকা
ক্যাপিটালস। তবে সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে তিন বিভাগে দাপুটে
পারফরম্যান্স দেখিয়েছে দলটি। রাজশাহীর ১৩৩ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট হাতে রেখেই
টপকে গেছে রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সিলেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ রানেই প্রথম উইকেট
হারিয়ে বসে ঢাকা। ১ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। তবে সেটি বিপদের কারণ হয়নি
লক্ষ্য ছোট হওয়ায়।
অন্য ওপেনার উসমান খান ৩৭ রানের জুটি গড়েন আবদুল্লাহ
আল মামুনের সঙ্গে। ১৮ রান করে উসমান আউট হন স্বদেশি মোহাম্মদ নওয়াজের বলে।
১২ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। হয়েছেন লামিচানের বলে
ক্যাচ আউট।
৬৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ঢাকাকে পথ দেখাতে থাকেন আবদুল্লাহ
আল মামুন। ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন তিনি। দলীয় ৮৫ রানে মামুন বিদায়
নেন নওয়াজের স্পিনে।
৯৮ রান যখন বোর্ডে, তখন নাসির হোসেন তখন ২২ রান করে
ক্যাচ দেন সাহিবজাদা ফারহানকে আবারও নওয়াজের বলেই। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট
শিকার করেছেন তিনি রাজশাহীর হয়ে।
জেতার জন্য বাকি ৩৫ রান সংগ্রহ করতে
অবশ্য কোনো কষ্ট করতে হয়নি ঢাকার। শামীম হোসেন পাটোয়ারির ১৩ বলে ১৭ ও
সাব্বির রহমানের ১০ বলে ২১ রানে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়
ঢাকা।
গতকাল উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে শান্তর সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত জয়ের পর ঢাকার বিপক্ষে হারলো রাজশাহী।
এর
আগে, রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে অল্প রানেই আটকে দেন ঢাকা ক্যাপিটালসের ইমাদ
ওয়াসিম-নাসির হোসেনরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে টেনেটুনে ৮ উইকেটে ১৩২ রান
তুলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহী।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম
বলেই উইকেট হারায় রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। সাহিবজাদা ফারহান স্টাম্পিং হন
স্বদেশি ইমাদ ওয়াসিমের বলে। ১৫ বলে ২০ করে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান
তামিমও। তাকে তুলে নেন নাসির হোসেন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে
থাকে রাজশাহী। ৮৫ রানে ৫ উইকেট। এক নাজমুল হোসেন শান্ত (২৮ বলে ২টি করে
চার-ছক্কায় ৩৭) ছাড়া আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি। ইয়াসির আলী ১৫ বলে ১৩,
মুশফিকুর রহিম ২৩ বলে ২৪, এসএম মেহরুব করেন ০।
শেষদিকে ২৬ বলে অপরাজিত ২৬ রান করে রাজশাহীকে ১৩২ পর্যন্ত নিয়ে যান মোহাম্মদ নওয়াজ।
ঢাকার ইমাদ ওয়াসিম মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ৩২ রানে ২ উইকেট শিকার নাসির হোসেনের।
