স্থানীয়
সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুইয়ার সমর্থনে বের করা এনসিপির নেতাকর্মীর উপর
হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাহ
চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। তখন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ৬ সাংবাদিকসহ উভয় গ্রুপের
অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা
হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব
ভুইয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাতে এনসিপির নেতাকর্মীরা উপজেলা
সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে
প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করে। এ সময় সমাবেশস্থলের অদূরে বিএনপি অফিসের সামনে
অবস্থান করছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। তখন সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী
জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ইট পাটকেল ছোঁড়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে
পড়ে এবং শুরু হয় উভয় গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় সেখানে
দায়িত্বপালনকালে ৬ সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আসিফ মাহমুদ সমর্থকরা এ
হামলার জন্য স্থানীয় বিএনপিকে দায়ি করেছে।
হামলার পর মুরাদনগর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন মোহাম্মদ ইমন (৩০) শুক্কুর আলী (২৮)
পারভেজ (২৮), কামাল হোসেন (৪০) এবং ডালিম সাইদুল হাসান (২১)। অপর আহতরা
জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন বলে জানা গেছে।।
এদিকে
সংঘর্ষ চলার সময় সেখানে দায়িত্ব পালনকালে স্টার নিউজের কুমিল্লা প্রতিনিধি
আব্দুল্লাহ আল মারুফ, খোলা কাগজের শাহ ইমরান, বার্তা ২৪ এর মহিন নাসের খান
রাফি, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মুন্না, মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ ও এসএ টিভির
ক্যামরাম্যান মো. বাপ্পি আহত হন।
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহবায়ক ও
উপজেলা এনসিপির তত্বাবধায়ক মিনাজুল হক জানান, উপদেষ্টার (আসিফ মাহমুদ)
বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে আমাদের বিক্ষোভ মিছিল ছিল।
কিন্তু বিএনপির লোকজন অতর্কিত আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমাদেরকে ধাওয়া
দিয়েছে। এ সময় তাদের প্রায় অর্ধ শতাধিক সমর্থক আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি
করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল
উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের ব্যানারে আমাদের একটি মিছিলের প্রস্তুতি ছিল। তারা
আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে ওমর উল্লাহ নামে যুবদল কর্মী
আহত হয়েছেন।
মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) আমিন কাদের খান বলেন,
উপজেলা সদরে এনসিপির সমর্থনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে
অবস্থানকৃত কিছু লোক ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিএনপির লোকজন এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে
ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়। আমরা চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এতে
কিছু লোক আহত হয়েছে। কোন পক্ষ এখনো মামলা দেয়নি। উপজেলা সদরে অতিরিক্ত
পুলিশ মোতায়েন করা আছে।