মাসুদ পারভেজ।।
কুমিল্লা
সদর উপজেলার রসুলপুর স্টেশন এলাকায় সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহী
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে ডাউন
লাইনের গাড়ি আপলাইনে ঘুরিয়ে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রেখেছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ এবং
গণপরিবহন সংকটে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা আটকা পড়ে যাত্রীরা। এতে চরম
ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন বয়সী মানুষ।
পরে রাত সাড়ে ৮টা ঢাকা থেকে ছেড়ে
আসা চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেসে উঠে গন্তব্যে উদ্দেশ্যে উঠেন
যাত্রীরা। এদিকে রাত ১০ পর্যন্ত ট্রেন উদ্ধারে আসেনি কোন উদ্ধারকারী
ট্রেন।
ট্রেনটি দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার বিষয়ে পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের চালক
(লোক মাস্টার) জানান, সবশেষ আখাউড়া শেষে ছেড়ে আসেন ট্রিনটি। রসূলপুর
স্টেশনে যাত্রা বিরতির সংকেত পেয়ে ডাউনলাইন দিয়ে লুপলাইনে নির্দিষ্ট গতি
নিয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। সাথে সাথে তাকিয়ে দেখেন এক এক
করে লাইন থেকে চাকাগুলো লাইনচ্যুত হচ্ছে। দ্রুত ট্রেনটি তিনি তার সহযোগী
চালককে নিয়ে থামানোর চেষ্টা করেন। যাতে করে যাত্রীদের কোর্চের চাকাগুলো
ক্ষতি না হয়। পরে তারা তাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানান।
কুমিল্লার
সদর রসুলপুর স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার নাহিদ উদ্দিন তিনি জানানন,
শনিবার বিকেল ৫টা ৯ মিনিটের দিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা
এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুমিল্লা সদর উপজেলার রসুলপুর স্টেশন এলাকায় এক লাইন
থেকে আরেক লাইনে যাওয়ার সময় পয়েন্টের মুখে ইঞ্জিনের ৮টি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে
যায়। ইঞ্জিনের চাকা লাইনচ্যুত হলেও বগিগুলো লাইনে আছে, ফলে যাত্রীদের কোনো
হতাহতের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
তিনি জানান, ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার
ঘটনায় স্টেশনে আটকা পড়া যাত্রীদের ঢাকা থেকে ছেড়ে আশা চট্টগ্রামগামী চট্টলা
এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠিয়ে তাদেরকে স্ব স্ব গন্তব্যে পৌছে দেয় হয়েছে।
এদিকে
আটকা পড়া যাত্রী বলেন, রসূলপুর স্টেশন এমন এক জায়গায় যেখান থেকে সড়ক পথে
গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্যেও কোন গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। তােই
তারা পরিবার পরিজন দিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন প্রায় ৪ ঘন্টা যাবত।
কুমিল্লা
অঞ্চলের রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার
ইঞ্জিনের লাইনচ্যুত হওয়া চাকা উদ্ধারের জন্য রিলিফ ট্রেন খবর দেওয়া হয়েছে।
আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন আসলে উদ্ধার কাজ শুরু হবে। তবে রাত ১০ পর্যন্ত
উদ্ধার কাজে হাত দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। স্টেশনের ডাউনলাইনের
গাড়িগুলো আপলাইনে ঘুরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে পৃথক স্থানে বিকাল সাড়ে
৫ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা লালমাই শ্রীনিবাসন এলাকায় চট্টগ্রাম
থেকে ছেড়ে আসা মহানগর গোধূলি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল। এতে চট্টগ্রাম থেকে
ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহের পথে রেল যোগাযোগ বন্ধ। পরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর
বিকল হওয়া মহানগর গোধূলি ট্রেন মেরামত শেষে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।