যেখানে
চোখ ছিল লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের মতো দুই কিংবদন্তির দিকে, সেখানে
আলো ছড়ালেন তরুণ জোয়াও নেভেস ও আশরাফ হাকিমি। ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি যেভাবে ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে গুঁড়িয়ে
দিলো, তাতে স্পষ্ট এই টুর্নামেন্টে তাদের লক্ষ্য ট্রফি ছাড়া কিছুই নয়।
রোববার
রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়
বহুল প্রতীক্ষিত এই ম্যাচ। যেখানে মায়ামি ছিল অভিজ্ঞতার প্রতীক মেসি,
সুয়ারেস, বুসকেটস, আলবাদের নিয়ে গড়া তারকাখচিত দল। আর পিএসজি ছিল তারুণ্যের
স্ফুরণ নেভেস, ভিতিনিয়া, দিজিরে দুয়ে ও বারকোলার মতো উদীয়মান প্রতিভাদের
ওপর নির্ভরশীল।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই ভিতিনহার নিখুঁত ক্রসে জোয়াও নেভেস
হেডে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। এরপর ৩৯ মিনিটে আরও একটি
ক্লিন-ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
৪৪
মিনিটে মায়ামির ডিফেন্ডার থমাস অ্যাভিলেস আত্মঘাতী গোল করে দেন নিজের দলকে
আরও বিপদে ফেলে। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে আশরাফ হাকিমি চতুর্থ গোল করে
মায়ামির স্বপ্নকে এক প্রকার চূর্ণবিচূর্ণ করে দেন।
নিজের সাবেক ক্লাবের
বিপক্ষে লিওনেল মেসির নামার মধ্যে যে এক ধরনের নাটকীয়তা ছিল, তা মাঠের
খেলায় ধরা পড়েনি। গোটা প্রথমার্ধে মায়ামি গোলের উদ্দেশে একটি শটও নিতে
পারেনি, এমনকি মেসি-সুয়ারেসের মতো ফরোয়ার্ড জুটির কাছ থেকে কোনো ঝলকই দেখা
যায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিছুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ফেরার চেষ্টা
করে মায়ামি। মেসি ৫১ মিনিটে প্রথম শটটি নেন। তবে সেটি প্রতিপক্ষের পায়ে
বাধা পায়। এরপর আরও দুটি প্রচেষ্টা এলেও তা তেমন বিপজ্জনক ছিল না। পিএসজির
রক্ষণভাগ তখনও ছিল পাথরের মতো শক্ত, আর মাঝমাঠে ছিল নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ।
দ্বিতীয়ার্ধে
আর কোনো গোল না হলেও, পিএসজির একচেটিয়া দখল ছিল বল ও মাঠের দুই জায়গাতেই।
তারা দাপট দেখিয়েই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে, যেন দ্বিতীয়ার্ধটি ছিল
শুধুই সময়ের ব্যাপার। শেষ পযর্ন্ত ৪-০ ব্যবধানের বড় জয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে
প্যারিসিয়ানরা।
কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। যারা ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়েছে ৪-২ গোলে।