তানভীর দিপু:
কুমিল্লার
মুরাদনগরের চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনায় পর্নোগ্রাফির মামলায় গ্রেপ্তার
চারজনের সাত দিন রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতে
এই রিমান্ড আবেদন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
মুরাদনগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রুহুল আমিন জানান, মুরাদনগর এর বাহের চরে
ধর্ষণের ঘটনায় এই চার যুবক নারীর বিবস্ত্র ধারণকারী ও সরবরাহকারী বলে
অভিযোগ উঠে। তাদেরকে শনিবার রাতের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদের
আদালতে উপস্থাপন করলে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই
ঘটনায় আর কেউ জড়িয়ে ধরেছে কিনা এবং ঘটনার পেছনের তথ্য তাদের বিরুদ্ধে ৭
দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। তবে এখনও আদালত থেকে কোন আদেশ পাইনি।
উপপরিদর্শক
রুহুল আমিন মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা ধর্ষণের
মামলারও তদন্ত কর্মকর্তা। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার ফজর আলী কে
আদালতে উপস্থাপনার বিষয়ে রুহুল আমিন জানান, পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি
ফজর আলীর অবস্থা উন্নতি হলেই তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। আগে তাকে
চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই নারী সংখ্যালঘু
হিন্দু সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক ফজর আলী এবং যারা অশালীন
ভিডিও ধারণ এবং ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে তারা একই এলাকার বাসিন্দা। সবাই
পূর্ব পরিচিত।
গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নারীকে নিপীড়নের
প্রথম ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ফজর আলী নামে এক ব্যক্তিকে
আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন ওই নারী। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলীসহ
পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফজর ছাড়া অন্য চারজনের বিরুদ্ধে
অভিযোগ-তারা ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছেন। এ অভিযোগে রোববার কুমিল্লার মুরাদনগর
থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ওই
মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা
হয়েছে। ভাইরালকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– একই এলাকার আবদুল হান্নানের
ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে আরিফ ও তালেম হোসেনের
ছেলে অনিক।