টেনিস
বিশ্বের চোখ এখন উইম্বলডনে। বছরের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ লড়াইটি যে আজ শুরু
হয়েছে। উইম্বলডনে টানা তৃতীয় শিরোপা জয়ের জন্য ফেবারিট কার্লোস আলকারাজ।
তবে তাঁকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেন ইয়ানিক সিনার, নোভাক জোকোভিচরা। সিনারের
মতো মেয়েদের মধ্যে বিশ্বসেরা আরিনা সাবালেঙ্কা খুঁজছেন তাঁর প্রথম উইম্বলডন
ট্রফি।
যাঁরা এরই মধ্যে টেলিভিশন পর্দায় চোখ রেখেছেন বছরের তৃতীয়
গ্র্যান্ড স্লাম দেখতে, তাঁরা কি কোর্টে ব্যতিক্রমী কিছু দেখছেন? যদি চোখে
না পড়ে, আবার খেয়াল করুন, লাইনকল দেওয়ার জন্য কোনো লাইন জাজ কিন্তু নেই।
এমনিতেই
অন্য তিন গ্র্যান্ড স্লামের চেয়ে একটু আলাদা উইম্বলডন-খেলোয়াড়দের পরতে হয়
সাদা পোশাক। তবে এবার প্রথমবারের মতো একটি বড় পরিবর্তন এসেছে অল ইংল্যান্ড
ক্লাবে। ১৪৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার উইম্বলডনে নেই লাইন জাজ।
কেন নেই লাইন জাজ?
২০২৪
সালে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০২৫ উইম্বলডনে ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রনিক লাইন
কলিং প্রযুক্তি। এটি এখন নিয়মিতই দেখা যায় এটিপি ও বেশ কিছু ডব্লুটিএ
টুর্নামেন্টে।
এই প্রযুক্তির কারণে কোর্টের পেছনে কিংবা পাশে আর দেখা
যাবে না লাইন জাজদের। টুর্নামেন্টের ১৮টি কোর্টেই থাকছে স্বয়ংক্রিয়
প্রযুক্তি। বল বাইরে পড়লেই শোনা যাবে যান্ত্রিক কণ্ঠস্বরের ঘোষণা-‘আউট’।
ফলে আর লাইন জাজদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার প্রয়োজন হবে না খেলোয়াড়দের।
আগে
উইম্বলডনে প্রতিবছর প্রায় ৩০০ লাইন জাজ কাজ করতেন। এবার সংখ্যাটা কমে
দাঁড়িয়েছে ৮০-তে। এঁরা মাঠে থাকবেন খেলোয়াড়দের সহায়তার জন্য ও প্রযুক্তি
কোনো কারণে কাজ না করলে নামবেন পুরোনো ভূমিকায়।
লাইন জাজ কেন নেই তা
নিয়ে উইম্বলডনের প্রধান নির্বাহী স্যালি বোল্টন ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘লাইভ
ইলেকট্রনিক লাইন কলিং ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে
বিষয়টি পর্যালোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে। এ বছর প্রযুক্তি পরীক্ষা করে আমরা
এটিকে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য মনে করেছি। এখনই সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এর
ফলে আমরা অফিশিয়ালদের কাজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে
পারব। খেলোয়াড়দের তেমন সমস্যা হওয়া কথা নয়, অনেকে টুর্নামেন্টেই তো এখন এই
প্রযুক্তি আছে।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ২০২১ ও ইউএস ওপেনে ২০২২ সাল থেকেই
ইলেকট্রনিক লাইন কলিং প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। উইম্বলডনও সেই পথে
হাঁটার পর এখন শুধু ফ্রেঞ্চ ওপেনেই লাইন জাজরা টিকে রইলেন।