প্রথম
ইনিংসে অল্প পুঁজি নিয়েও বড় লিড পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে ম্যাচে এগিয়ে
থেকেই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেতে নেমেছিল অজিরা। কিন্তু লর্ডসের
পেস বান্ধব উইকেটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে অজি টপ অর্ডার। কাগিসো
রাবাদা-লুঙ্গি এনগিদিদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি উসমান খাওয়াজা-স্টিভেন
স্মিথরা। তবে শেষ দিকে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েন মিচেল স্টার্ক। তার
দুর্দান্ত ফিফটিতে দুইশ ছাড়ায় অজিদের ইনিংস।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি
উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ৫৭ ওভার ১ বলে
১৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি টেম্বা বাভুমার দল। ৭৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয়
ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬৫ ওভারে ২০৭ রানে অল আউট হয়েছে অজিরা। ফলে শিরোপা
জিততে প্রোটিয়াদের করতে হবে ২৮২ রান।
আগের দিনের ৮ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে
তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন, এখান
থেকে খুব বেশি দূরে যেতে পারবে না অস্ট্রেলিয়া। কারণ লর্ডসে রীতিমতো আগুন
ঝরাচ্ছেন পেসাররা!
তবে গতকাল ১৬ রানে অপরাজিত থাকা স্টার্ক আজ ব্যাট
হাতে রূপকথার এক কাব্য লিখলেন! টেস্টে এর আগেও ১০ বার ফিফটি করেছেন
স্টার্ক। তবে আজকের ইনিংসটা একটু আলাদাই। কারণ যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে তিনি
ব্যাটিং করেছেন সেখানে এখজন স্বীকৃত ব্যাটারের জন্যও কাজটা কঠিন হতো।
আজ
সকালেই ফিরেছেন নাথান লায়ন। তিনি ২ রান করে যখন সাজঘরের পথ ধরেছেন তখন
স্কোরবোর্ডে অজিদের সংগ্রহ ১৪৮ রান। সেখান থেকে দেড়শ রান করতে যে ২ রান
দরকার ছিল সেটাও কঠিন কাজই মনে হচ্ছিলো। তবে স্টার্ক সেটাকে নিয়ে গেলেন
দুইশতে।
এক প্রান্ত আগলে রেখে স্টার্ক যেভাবে ব্যাটিং করলেন সেটা যেকোনো
টপ অর্ডার ব্যাটারের জন্যও শিক্ষণীয় হতে পারে। শেষ উইকেট জুটিতে তার সঙ্গী
ছিলেন জশ হ্যাজেলউড। দুজনে মিলে যোগ করেছেন ৫৯ রান। যা ইনিংসের প্রায় এক
চতুর্থাংশ।
শেষ পর্যন্ত ১৭ রান করে ফিরেছেন হ্যাজেলউড। তাতে ২০৭ রানে থেমেছে অজিদের ইনিংস। স্টার্ক অপরাজিত থেকেছেন ১৩৬ বলে ৫৮ রান করে।