নিজস্ব
প্রতিবেদক: জৈষ্ঠ্যের শুরুতে দুই-তিন দিন ধরে ঢাকায় দফায়-দফায় বৃষ্টি
হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে, বুধবার থেকে
বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আর, চলতি মে মাসের শেষ দিকে একটি লঘুচাপের সম্ভাবনাও দেখছে সংস্থাটি।
আবহাওয়াবিদ
শাহানাজ সুলতানা মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাল
থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে; রোদের দেখা মিলবে। এরপর ২৭ বা ২৮
তারিখের দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর,
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের
কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা
বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের
কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। আর, সারাদেশে দিন
এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১
থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি
হলে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে
৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি নথিবদ্ধ হলে
সেটিকে ধরা হয় অতিভারি বৃষ্টিপাত।
গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ
বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হয়েছে সিলেটে, ১৯২ মিলিমিটার। সিলেট ছাড়াও অতিভারি
বৃষ্টিপাত হয়েছে রংপুর ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে; এর মধ্যে রংপুরে ১৪৬
মিলিমিটার, রাজারহাটে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে।
এছাড়া, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৬৪ মিলিমিটার, ঢাকায় ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এই
সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে; ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন
তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে; ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।