নিজস্ব
প্রতিবেদক: ভিভো মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে বিনিয়োগকৃত প্রায় ৩ কোটি টাকা
ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লার স্থানীয় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল (১৬ মে) শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত
বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান। সাংবাদিক
সম্মেলনে বলেন- “আমরা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা শহর ও জেলার বিভিন্ন মার্কেটে
মোবাইল বিক্রয় ও সার্ভিসিং করে আসছি, এই ব্যবসা হাজারো পরিবারের জীবিকার
একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু সম্প্রতি ভিভো মোবাইল কোম্পানি স্থানীয় একটি
মার্কেট প্লেসে সেলস সেন্টারের পাশাপাশি একটি সার্ভিস সেন্টার চালু করে, যা
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য সরাসরি হুমকি।” এ সময় কুমিল্লা সাত্তার খান
কমপ্লেক্স প্রতিনিধি মোহাম্মদ তৌহিদ উজ জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন
ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, সাধারণ সম্পাদক, মুজাহিদ চৌধুরী, সাত্তার খান
কমপ্লেক্স প্রতিনিধি, আনোয়ার ফরহাদ (সুমন), খন্দকার হক টাওয়ার, প্রতিনিধি,
সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া (মানিক), টাউন হল সুপারমার্কেট, প্রতিনিধি, কাজী
ইমাম হুসাইন (রাজু), ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজা, প্রতিনিধি, মোহাম্মদ ইমরান
হোসাইন (ইমো), উজালা পয়েন্ট, প্রতিনিধি, জালাল উদ্দিন (শাকিল), জাহাঙ্গীর
আল আমিন জমজম টাওয়ার, প্রতিনিধি, মোঃ আরমান হোসাইন, আনন্দ সিটি সেন্টার,
প্রতিনিধি, মোহাম্মদ তারেক আজিজসহ অনেকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, তারা ভিভো
প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসলেও কোনো সমাধান হয়নি। বরং ভিভোর
কুমিল্লা অঞ্চলের দায়িত্বশীল জনাব জিনি, মাসুদ পারভেজ (ঝিকু) ও নাঈম
শাহরিয়ার আলোচনা প্রক্রিয়াকে অবজ্ঞা করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হুমকি দেন এবং
অপমানজনক আচরণ করেন। তারা বলেন, “ভিভো কোম্পানির সঙ্গে আমাদের প্রায় ৩
কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। অথচ কোম্পানির
প্রতিনিধিরা স্পষ্টভাবে
জানিয়েছেন, তারা আমাদের এ টাকা ফেরত দেবেন না। এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে থানায়
জিডি করেও ব্যবসায়িক পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা
হয়, কুমিল্লা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও ব্যবসায়ী ফেডারেশনের মধ্যস্থতায়
পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা হলেও ভিভো
প্রতিনিধিরা পুলিশ প্রশাসনের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, “ভিভো কোম্পানি স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি
ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করে একচেটিয়া ব্যবসার চেষ্টা করছে। এটি শুধু অনৈতিকই নয়,
বরং পুরো কুমিল্লার মোবাইল ব্যবসার জন্য এক ভয়াবহ সংকেত।” তারা বলেন-
তাদের বিনিয়োগকৃত প্রায় ৩ কোটি টাকা আদায়ে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। সেইসঙ্গে মানববন্ধন ও আইনি পদক্ষেপসহ বিভিন্ন
কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে
ব্যবসায়ীরা জানান।