প্রদীপ মজুমদার :
খাঁচায় বন্দি অবস্থায় বিপন্ন একটি মেছো বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার জগতপুর গ্রাম থেকে।
সোমবার
(১২ মে) বিকেলে উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের জগতপুর উত্তর পাড়ার অটো চালক
অলি উল্যাহর ঘর থেকে বিড়ালটি উদ্ধার করেন লালমাই উপজেলা বন কর্মকর্তা
জহিরুল ইসলাম।
পরে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা
ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) মারজানা আক্তারের সাথে পরামর্শ করে মেছো বিড়ালটি
লালমাই পাহাড়ের উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রবিবার (১১ মে) বিকেলে
উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের জগতপুর উত্তরপাড়ার অটো রিকশা চালক নুরুন্নবী
বাড়ির পাশের ফসলি জমিতে ঘাস কাটতে গেলে বিড়ালটি দেখেন। তখন তিনিসহ
গ্রামবাসী মেছো বাঘ মনে করে ধাওয়া করে বিড়ালটি আটক করেন। পরে পারিবারিকভাবে
পালনের জন্য বিড়ালটি তার ভাই অলি উল্যাহ নিয়ে যান।
জগতপুর গ্রামের অটো
রিকশা চালক নুরুন্নবী বলেন, রবিবার বিকেলে আমি বাড়ির পাশের ফসলি জমির আইলে
ঘাষ কাটছিলাম। হঠাৎ বাঘ আকৃতির বিড়ালটি আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। তখন
আমি বিড়ালটিকে ধাওয়া করি। আমিসহ কয়েকজন ধাওয়া করে বিড়ালটিকে আটক করি। পরে
একটি কবুতরের খাঁচায় বিড়ালটিকে বন্দি করে আমার ভাই অলি উল্যার ঘরে রাখি।
অটো
রিকশা চালক অলি উল্যাহ বলেন, আমি কবুতরসহ বিভিন্ন পাখি পালন করি। আমার
ভাইসহ গ্রামবাসী মেছো বিড়ালটি ধরে আমার কাছে দিয়েছে। আমি বিড়ালটিকে ২৪
ঘন্টা ধরে মুরগীর মাংসসহ বিভিন্ন খাদ্য খেতে দিয়েছি। কিন্তু বনে ছেড়ে
দেওয়ার কথা বলে সোমবার বিকেলে বন কর্মকর্তা বিড়ালটি নিয়ে গেছেন।
লালমাই
উপজেলা বন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার বিকেলে অটো রিকশা চালক অলি
উল্যাহর ঘর থেকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় মেছো বিড়ালটি উদ্ধার করে লালমাই
পাহাড়ের লালমাই উদ্যানে ছেড়ে দিয়েছি। তবে আটকের সময় বিড়ালটিকে কেউ আঘাত
করেননি। বরং আটকের পর তারা বিড়ালটির যত্ন নিয়েছেন।