ব্রাহ্মণপাড়া
মেজর গনি সড়কের পাশে মধুমতী হসপিটালের উত্তরাংশে সরকারি জায়গায় উপরেই ফেলা
হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। এসব আবর্জনা পঁচে চারদিকে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে।
এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী ও হাজারো পথচারী। এলাকায় আবর্জনা
ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে
দেখা যায়,ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের দক্ষিণ পাশেই এবং মধুমতী হসপিটালের
উত্তর পাশে সিএনজি স্টেশন করার জন্য সরকারি খাস জায়গায়টি তৎকালীন ইউ এন ও
সোহেল রানা এই জায়গাটি পুরিয়েছিলেন এবং কিছুদিন উক্ত জায়গায় কুমিল্লার
সিএনজিগুলো অবস্থান করত। এর পর আবার আগের জায়গায় ফিরে যায় সিএনজি
স্টেশনটি।তখন থেকে এই জায়গাটির কোন ধরনের তদারকি না থাকায় হর হামেশাই
সাধারণ মানুষ বজ্র নিষ্কাশন এবং বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা এই জায়গায় ফেলে
ময়লার ভাগাড় তৈরি করেছে।
ব্রাহ্মণপাড়া বাজারের বিভিন্ন আড়ৎ এবং
কাঁচাবাজার সমস্ত অবশিষ্ট বর্জ্য প্রতিদিনই ভ্যান গাড়ি দিয়ে এই জায়গায় ঢালে
ও সমস্ত জায়গা জুড়ে ফেলা হচ্ছে। সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলে এ স্থানটিকে
ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে।
কথা হয় ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ সঙ্গে তিনি
বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া আলতাফ আলী মার্কেটে আমার দোকান আছে। প্রতিদিন সকালে
আমার দোকানে আসতে হয় এবং রাতের বেলা যেতে হয়। ময়লার ভাগাড়ের দক্ষিণ দিকেই
মধুমতী হাসপাতাল এ হাসপাতালে প্রতিদিন শতশত রুগী আসে ময়লার ভাগাড়ে কাছে
আসলই দুর্গন্ধে পেট ফুলে যায়। মনে হয় দুর্গন্ধে এই বুঝি বমি এলো। নাক, মুখে
কাপড় চেপে কোনমতে এতোটুকু রাস্তা পার হই।
আরেক ব্যবসায়ী মনির হোসেন
জানান, ব্রাহ্মণপাড়া দক্ষিণ বাজার মধুমতী হাসপাতালে পাশে ময়লার ভাগাড় এখন
জনদূর্ভোগ হয়ে দাড়িয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়াচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা
ময়লার ভাগাড় এখান থেকে অপসারণ না করলে এখানে ব্যবসা বানিজ্য ও বসবাস করা
মুশকিল হয়ে পড়বে। এ ধরনের অভিযোগ হাজার হাজার সাধারণ মানুষের।
ময়লা
ফেলতে আশা আবু কালাম জানায়, আমি বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করি বিভিন্ন
মালামাল বিক্রির পর রাতে অবশিষ্ট বর্জ্য গুলো এখানে ফেলে দেই।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন,এ জায়গাটা
সরকারি দীর্ঘদিন যাবত খোলা পড়ে আছে তাই আমরা এখানে ময়লা ফেলছি। আমাদের
এখানে আশেপাশে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই তাই এখানে খালি জায়গা
পেয়ে ময়লা ফেলছে।
মধুমতী হাসপাতালে পাশে একজন ব্যবসায়ী বলেন এ ময়লার
ভাগাড়ের কারণে এদিক দিয়ে মানুষ আসতে চায় না, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলে পঁচা
বাশি দুর্গন্ধে মানুষের কষ্ট হয়। আশেপাশে ব্যবসায়ীদের দাবি অচিরে এই ময়লার
ভাগাড়টি এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র নিলে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের
ভোগান্তি কিছুটা লাগব হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা
কর্মকর্তা শেখ মো: হাসিবুর রেজা জানান, তীব্র গন্ধদূর্ষনের শিকার হলে যেকোন
মানুষের মস্তিস্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাড়তে পারে স্বাস্থ্য
ঝুঁকি। তাছাড়া শিশু ও বয়স্কদের শ্বাস কষ্টের সমস্যাও হতে পারে। এ ছাড়া এ-ই
ভাগাড়ের পাশে রয়েছে একটা প্রাইভেট হাসপাতাল তাই উপজেলা প্রশাসনের সাথে
আলোচনা করে এটা সরানোর দরকার বলে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা জাহান বলেন, আমি বাজার পরিচালনা কমিটির
সাথে কথা বলবো সরকারি খোলা জায়গায় যাতে তাদের উচ্ছিষ্ট বর্জ্য না ফেলে। আর
সরকারি জায়গাতে তো তাদের ময়লা ফেলার কোন এখতিয়ারই নাই।এ ছাড়া আমি
জনসাধারণের সুবিধার্থে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিব যেন কেউ এই জায়গায় ময়লা
না ফেলতে পারে।