চট্টগ্রাম
বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বুধবার চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি
বলেছেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম
বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত না করতে চলতি সপ্তাহেই ঢাকা
থেকে চট্টগ্রামে রোড মার্চ করে ‘সাম্রাজবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামের
একটি প্ল্যাটফর্ম। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বামপন্থি রাজনৈতিক সংগঠনের কয়েকশ
নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
এনবিআরকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ সেবা ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে
অস্পষ্টতার বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন,
দ্যাট ইজ ফাইনাল। এর পরেও কোন প্রজ্ঞাপন নাই, আগেও প্রজ্ঞাপন নাই।
“আমি প্রজ্ঞাপন জারি করার লোক। আই এম নোট এ ডিসিশন মেকার। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।”
আরেক
প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আলোচনার দরকার আছে কী নাই, সে বিষয়ে কথা বলার
আগেই ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ওনাদের দাবি-দাবা আছে কী নাই,
সেটা বুঝলে পরে আমরা বসব।”
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে
বন্দরে স্থবিরতা দেখা দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাখাওয়াত বলেন,
“বন্দর পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পণ্য যা বন্দরে ঢুকেছে, সেগুলো এখন জাহাজীকরণ
হবে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়নি।”
এনবিআরের
আন্দোলনকারীদের ইঙ্গিত করে শ্রম উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, “আপনি নাই বলে
কোনো কাজ থেমে থাকবে, এটা বাংলাদেশে হবে না, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না।
অনেকেই চলে গেছেন, কাজটি থেমে আছে?”
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ
উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার
হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন
দেওয়া হয়েছে।
“এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি আসলে আমরা
হয় তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারব। রংপুরে ৩০টি স্কুল রেইনভেন্ট করার বিষয়ে
অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দে ‘কোনো কার্পণ্য’ করা হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।