সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২
হঠাৎ উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ
প্রকাশ: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ১:১৩ এএম |

হঠাৎ উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ
দীর্ঘদিন ধরেই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রেখে এসেছে। এখনো তারা একই ভূমিকায় রয়েছে। তারা চায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগামী নির্বাচন হোক সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক। নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রতিটি পদক্ষেপে যেন জবাবদিহি নিশ্চিত হয়।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে গণতন্ত্রের বৈশ্বিক প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতি রেখেই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘সরকারের কোনো পরিকল্পনাই নেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার। তবে যেসব নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিচার চলবে এবং তাঁরা আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবেন।’ কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যকে মেনে নিতে পারেনি অনেক রাজনৈতিক দল।
আবার অনেকে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে সমর্থনও করেছে। এরই মধ্যে এই বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। ফলে হঠাৎ করেই রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দেশ আবার সংঘাতময় হয়ে ওঠে কি না, সে আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষও।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ অনেক রাজনৈতিক দলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
একদিকে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করছে, অন্যদিকে দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কারো মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সরকারের কার্যক্রম ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলে দেবে এই সিদ্ধান্ত দেশে স্থিতিশীলতা আনবে, নাকি নতুন করে সংঘাতের জন্ম দেবে। এর আগে বিভিন্ন সময়ই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং এই মাফিয়াগোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা হবে। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস করার সুযোগ নেই। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘লড়াইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত।’ এদিকে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অনেকেই উদ্বেগ অনুভব করছে। এদিকে যেকোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়। সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে ছিল যৌথ বাহিনী। প্রস্তুত ছিল পুলিশের রায়টকারসহ বিশেষ সরঞ্জাম।
মানুষ চায় গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশ এগিয়ে যাক। সহিংসতা কারোই কাম্য নয়। এই অবস্থায় সবারই উচিত সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। যেকোনো মূল্যে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে।












সর্বশেষ সংবাদ
সুদের টাকার জন্য পিটুনিতে ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু, তিন দিন পর জানালো পরিবার
শাহজালালে ৬ মাসে ১০ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা জব্দ
কুমিল্লায় বোরো ধান কাটার উৎসব কৃষকের মুখে হাসি
চাপ প্রয়োগ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জমি দখলে নেন সাবেক এমপি বাহার
চৌদ্দগ্রামে শ্রমিক সঙ্কটে ঘরে তুলতে পারছে না বোরো ধান
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
চাপ প্রয়োগ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জমি দখলে নেন সাবেক এমপি বাহার
পুলিশ হত্যা মামলা: শিশু আসামির বিষয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
ক্ষতিপূরণ চেয়ে ‘কুমিল্লা বাঁচাও’ কমিটির বিক্ষোভ সমাবেশ
ডিসেম্বরে নির্বাচন আদায়ে ‘সর্বদলীয় জনমত’ গঠনে বিএনপি
ভয়-আতঙ্কে দিন কাটছে সেই গৃহবধূর
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২