শুক্রবার ৪ অক্টোবর ২০২৪
১৯ আশ্বিন ১৪৩১
গণ-আন্দোলনে আহতদের দুর্দশা
প্রকাশ: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৩৫ এএম |

গণ-আন্দোলনে আহতদের দুর্দশাছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। ক্ষমতায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অনেকেই এই পরিবর্তনের সুযোগ নিচ্ছে। অনেকে সুযোগ নেওয়ার স্বপ্নে বিভোর আছে।
কিন্তু যাঁদের জীবনের বিনিময়ে কিংবা রক্তের বিনিময়ে এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে, কেমন আছেন তাঁরা? কেমন আছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা? না, ভালো নেই তাঁরা। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাঁদের কারো কারো আক্ষেপ, বেদনা ও হতাশার কিছু কথা। এই আন্দোলনে অন্তত এক হাজার ৫৮১ জন শহীদ হয়েছেন। এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে।
তারা অবর্ণনীয় দুঃখকষ্টে দিন কাটাচ্ছে। আহতদের মধ্যে ১১৯ জন এখনো চিকিৎসা নিচ্ছে রাজধানীর তিনটি হাসপাতালে। হাসপাতালগুলো হলো-পঙ্গু হাসপাতাল (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান), জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল। তারা জানিয়েছে তাদের কষ্টের কথা, দুঃখের কথা।
জানিয়েছে স্বপ্ন হারিয়ে ফেলা চূড়ান্ত হতাশার কথা। কেন এমন হবে?
আহতদের চিকিৎসার কিছু খরচ এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার আগেই অনেককে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়েছে, ঋণ করতে হয়েছে। ঋণ পরিশোধ করার জন্য তারা এখন চাপে আছে। অনেককে এখনো বিশেষ বিশেষ ওষুধের জন্য নিজের পকেট থেকে খরচ করতে হয়।
রোগীর জন্য স্বজনদের হাসপাতালে আসা-যাওয়া, হাসপাতালের আশপাশে স্বজনদের থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ করতে হয়। হতাহত হওয়া অনেক ব্যক্তি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁদের অবর্তমানে সেই পরিবারগুলোর পথে বসার উপক্রম হয়েছে। রাষ্ট্রকে তাঁদের দিকেও নজর দিতে হবে। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমন অনেক হতাশার কথাই জানা যায়। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন শিক্ষার্থী রানা হোসেন (২৪)। ছররা গুলিতে তাঁর দুই চোখই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামনে মানুষ আছে, সেটি আবছাভাবে দেখতে পেলেও এখনো তিনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘হাসপাতাল বিদায় করে দিতে চাইছে, কিন্তু বাড়িতে গিয়ে আমি কী করব? আমার জীবন চলবে কিভাবে?’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজল মিয়ার (২৭) মাথায় গুলি লেগেছে। তাঁর স্ত্রী জানান, কাজলের ব্রেনের মুভমেন্ট বাচ্চাদের মতো। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন, কিন্তু সেই সংগতি তাঁদের নেই। একই ধরনের সমস্যা আহত অনেকেরই। রাষ্ট্র কি তাঁদের দায়িত্ব নেবে না?
আমরা মনে করি, গণ-আন্দোলনে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দেখভালের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। একইভাবে আহতদের সর্বোচ্চ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা রাষ্ট্রকেই করতে হবে।













সর্বশেষ সংবাদ
বাহার-সূচির বিরুদ্ধে আরো এক মামলা
সদর দক্ষিণ উপজেলার সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৯৬ জনের নামে সমন্বয়কের মামলা
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার এক প্রবাসীর মৃত্যু
বরুড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৫ জন আহত
কুমিল্লার আলোচিত সুমন মেম্বার গ্রেপ্তার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সাবেক এমপি বাহার ও সূচিকে সীমান্ত পারের অভিযোগ ।। কুমিল্লার আলোচিত সুমন মেম্বার গ্রেপ্তার
সদর দক্ষিণ উপজেলার সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ৯৬ জনের নামে সমন্বয়কের মামলা
বাহার-সূচির বিরুদ্ধে আরো এক মামলা
কামাল চৌধুরীসহ চারজন গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি জাহেরের দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে দুদক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২