বুধবার ২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২
প্রশাসনে অনিয়ম-দুর্নীতি
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪, ১:০২ এএম |

প্রশাসনে অনিয়ম-দুর্নীতি
রাজনৈতিক সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা অনেকাংশেই নির্ভর করে দক্ষ ও যোগ্য জনপ্রশাসনের ওপর। সরকারের নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা ও উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়নে তাদের ভূমিকাই প্রধান। তাই প্রতিটি সরকারই ক্ষমতা গ্রহণের পর পর জনপ্রশাসনকে তাদের চিন্তা-ভাবনা, আশু ও মেয়াদভিত্তিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো অবহিত করে। প্রশাসনে আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলার বিষয়ে কি অগ্রগতি হয়েছে?
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও তিরস্কার ও বেতন হ্রাসের শাস্তি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তার বেশির ভাগ নবীন হওয়ায় কম শাস্তির পাশাপাশি বড় দায় থেকেও অনেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন। যেমন-অবসরে যাওয়া কানুনগোর আইডি ব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাতটি নামজারি মামলা অনুমোদন করেও একজন সাবেক সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসি ল্যান্ড) লঘুদ- পেয়েছেন। তাঁর বেতন কমানো হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অনিয়ম করায় আরেক কর্মকর্তার বেতন কমানো হয়েছে। নদীর বালু উত্তোলনে একজনের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেওয়ায় দুই বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নি¤œতম ধাপে অবনমনের শাস্তি দেওয়া হয় তাঁকে। ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে একজন সাবেক ইউএনওর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি এক বছর বন্ধ রেখে গত ৫ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পে সরকারি খাস খতিয়ানের জমি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ দেখিয়ে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তখনকার এক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে লঘুদ- দেওয়া হয়েছে।
‘পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ’ ও ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) লঘুদ- পেয়েছিলেন। শাস্তি দেওয়ার ছয় মাস না যেতেই  ‘নবীন কর্মকর্তা’ বিবেচনায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা (অব্যাহতি) পান তিনি। খবরে প্রকাশ, ২০২৩ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কর্মকর্তার নামে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের ফাঁকফোকরে তিরস্কার কিংবা বেতন হ্রাস করে অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি না দেওয়ায় প্রশাসনে অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যাহত আছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আচরণ) বিধিমালা সংস্কার করা প্রয়োজন।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। সেবক হিসেবে সেবা দেওয়ার জন্য তাঁদের অনেক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে কর্মকর্তারা সতর্ক হবেন।












সর্বশেষ সংবাদ
বাড়ি ছাড়লেন সেই নারী
এখনো হয়নি ডাক্তারি পরীক্ষা গ্রেপ্তার ফজর হাসপাতালে
চৌদ্দগ্রাম থানায় ১২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
যথাসময়ে নির্বাচনের তারিখ এবংতফসিল ঘোষণা হবে
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার : উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল নারীর বস্তাবন্দি লাশ
অবশেষে বন্ধ হলো কুমিল্লা কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলা
কুমিল্লার মুরাদনগরে ভুক্তভোগীর বাড়িতে কায়কোবাদ
ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াই ছিলো নিপীড়নকারীদের উদ্দেশ্য?
বরুড়ায় “আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্ম” সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২