প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের অধীন সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) পদের
নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি এ পরীক্ষা হওয়ার কথা
ছিল।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য
জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক
শিক্ষা অধিদপ্তরে বিভাগীয় কোটায় পূরণযোগ্য সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা
কর্মকর্তা (দশম গ্রেড) পদের প্রার্থীদের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় লিখিত পরীক্ষা
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থগিত করা হলো। স্থগিত করা পরীক্ষার তারিখ ও
সময় পরবর্তীতে কমিশনের ওয়েবসাইটে ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
জানা
যায়, ২০২৩ সালের ২৬ জুন ১৫৯ জন এটিইও নিয়োগের আবেদন শুরু হয়েছিল। আবেদনের
শেষ তারিখের ঠিক একদিন আগে, অর্থাৎ ৩০ জুলাই হঠাৎ আবেদন স্থগিত করা হয়।
২০২৪
সালে এটিইও পদে নিয়োগে আবার সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন শুরু
হয় ১ জুলাই। আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৫ জুলাই। এরপর সেটি দুই দফায় বাড়িয়ে একই
বছরের ২২ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আড়াই বছর এবং
আবেদন প্রক্রিয়া শেষের প্রায় দেড় বছর পার হলেও ১৫৯ এটিইও নিয়োগের পরীক্ষা
নেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী ৭ জানুয়ারি এ পরীক্ষা অনুষ্ঠানে পিএসসি ও প্রাথমিক
শিক্ষা অধিদপ্তর আশাবাদী হলেও আইনি জটিলতায় তা আবার আটকে গেলো।
গত ২৬
ডিসেম্বর পরীক্ষা শুরুর মাত্র এক ঘণ্টা আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে
অধীনে হিসাব সহকারী পদের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর বিকেল
৩টা থেকে ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ওই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আবেদনকারী চাকরি
প্রার্থীদের অধিকাংশেই কেন্দ্রেও পৌঁছেছিলেন। তবে দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ
অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন
প্রার্থীরা।
নির্বাচন ঘিরে যেকোনও মূল্যে আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ আইজিপির
আইজিপি
বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে
যেকোনও মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হবে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতার উদ্ভব হলে
তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সোমবার (২৯
ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য
প্রদানকালে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব নির্দেশনা দেন
আইজিপি।
বাহারুল আলম বলেন, প্রাক-নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে পুলিশের দৃশ্যমান উপস্থিতি আরও বাড়াতে হবে। নিয়মিত টহলের
পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম
জোরদার করতে হবে।
আইজিপি বলেন, পুলিশের দায়িত্ব পালনে কেউ বাধা সৃষ্টি
করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনায়
সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করে দ্রুত আদালতে সোপর্দ করারও নির্দেশনা দেন তিনি।
এছাড়া
থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে আইজিপি মাঠ
পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলেন, লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে সরকার ঘোষিত
পুরস্কারের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে, যাতে সাধারণ জনগণ এ বিষয়ে
আরও উৎসাহিত হয়।
সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সব মেট্রোপলিটন পুলিশ
কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা। পুলিশ সদর দফতরে উপস্থিত
ছিলেন অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) এ কে এম আওলাদ হোসেন, অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম
অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল
করিম, ডিআইজি (গোপনীয়) মো. কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায়
নভেম্বর ২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি
পরোয়ানার অগ্রগতি, মামলা তদন্ত ও বিচারের ফলাফল, সাজার হারসহ অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্যালোচনা করা হয়।
