কোথাও শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও পৌষের মাঝামাঝি সময়ে কুয়াশাচ্ছন্ন দেশে জেঁকে বসেছে শীত।
আরও কয়েকদিন কুয়াশার দাপট থাকার পূর্বাভাস দিয়ে আবওহওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী দুই দিনে তাপমাত্রা আরো একটু কমতে পারে।
আবওহাওয়াবিদ
শাহনাজ সুলতানা সোমবার বিকালে বলেন, “আজ কোথাও শৈতপ্রবাহ নেই, তবে
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় এবং কুয়াশার কারণে
সূর্যের দেখা না মেলায় শীত অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীতের এ তীব্রতা ও
কুয়াশার প্রকোপ আরও কয়েকদিন থাকবে।”
তাপমাত্রা যতটা কম, শীত অনেক বেশি
অনুভূত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে এ আবওহাওয়াবিদ বলেন, সোমবার ভোর বেলা ঢাকার
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
“সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন
তাপমাত্রার পার্থক্য ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই পার্থক্য ৫ ডিগ্রি
সেলসিয়াস বা তার নিচে নেমে এলেই শীত বেশি অনুভূত হয়, সেখানে পার্থক্য ১
দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসায় শীত অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে।
“এছাড়া
কুয়াশার প্রকোপ থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না, তাতে গ্রাউন্ড হিটেড হচ্ছে
না। এটাও শীত বেশি অনুভূত হওয়ার একটি কারণ। আরও দুই দিন দেশে কুয়াশার দাপট
থাকবে।”
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে দেশের
সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পাঁচ দিনের
আবওহাওয়ার পূর্বাভাসে আবওহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোম থেকে শুক্রবার আকাশ
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং সারাদেশের আবওহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এ
পাঁচ দিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন
কুয়াশা থাকতে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে।
সোম
থেকে বুধবার ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন ও সড়ক
যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় এ তিন
দিন দেশের অনেক জায়গায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে পারে।
আবওহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার
সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারাদেশে
রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার রাত ও দিনের
তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
