
এক
বুক স্বপ্ন নিয়ে দল গঠন করে প্রথমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)
খেলতে আসা নোয়াখালী যেন মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারছে না। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের
কাছে ৬ উইকেটের পরাজিত হওয়ার মাধ্যমে হারের হ্যাটট্রিক করল নবাগত দলটি।
এদিকে প্রথম ম্যাচে হারের পর টানা দ্বিতীয় জয়ে এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের
শীর্ষে উঠল রাজশাহী।
ম্যাচের শুরু ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮
উইকেটে ১২৪ রান করে নোয়াখালি। জবাবে ৬ উইকেট ও ১৩ বল হাতে রেখেই জয়
নিশ্চিত করে রাজশাহী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে
নোয়াখালীকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন
শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো সূচনার ইঙ্গিত দিলেও শুরুটা ভালো হয়নি
নোয়াখালীর। ৫ রান করে আউট হন হাবিবুর রহমান সোহান। আর ৬ রান এসেছে সাব্বির
হোসেনের ব্যাট থেকে। ১৯ বলে ২৫ রান করেন ওপেনার মাজ সাদাকাত।
মন্থর গতির
ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও
দলনেতা হায়দার আলী। কিন্তু কেউই ব্যক্তিগত ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ২২ রান
করেন অঙ্কন। আর দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংসটি খেলে আউট হন হায়দার
আলী।
এরপরের ব্যাটার ছিলেন একদম নিষ্প্রভ। দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে
পেরেছেন কেবল একজন। ১১ রান করেন মেহেদী হাসান রানা। এছাড়া জাকের আলি ৬,
রেজাউর রহমান রাজা ১ ও হাসান মাহমুদ ০ রানে আউট হন।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের
হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন ডানহাতি পেসার রিপন মণ্ডল। দুটি উইকেট নেন
তানজিম হাসান সাকিব। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন দুজন বোলার।
রান
তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ফেরেন রাজশাহীর ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৬৫ রান। তাতেই জয়ের ভিত্তি পেয়ে যায় রাজশাহী। ২৯
রানে তানজিদ ও ২৪ রানে শান্ত আউট হন। আর আউট হওয়ার আগে মাত্র ৩ রান করেন
হোসাইন তালাত।
এরপর আর উইকেট হারায়নি রাজশাহী। ইয়াসির আলী রাব্বিকে নিয়ে
জয় নিশ্চিত করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ২৮ রানে মুশফিক ও ২৩ রানে
ইয়াসির অপরাজিত থাকেন।
এ জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের
শীর্ষে উঠেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। এদিকে ৩ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে
না পারা নোয়াখালীর অবস্থান তলানিতে। বাকি চারটি দল অর্জন করে দুটি করে
পয়েন্ট।
