ইসমাইল নয়ন।।
নভেম্বর
মাস থেকেই শীতের আমেজ শুরু হলেও মূলত ডিসেম্বর মাসে শীতের তীব্রতা বেশি
অনুভূত হয়। তবে চলতি বছরে শীতের আগমন কিছুটা দেরিতে হয়েছে। গত তিন দিন ধরে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরম
কাপড়ের বেচাকেনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাতে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের বাজার। মানুষ
তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র
কিনছেন। বিশেষ করে যারা ভোরে কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হন বা দিনভর
বাইরে থাকতে হয়, তাদের মধ্যে গরম কাপড় কেনার আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে।
পাশাপাশি শিশুদের শীতবস্ত্রের চাহিদাও বেড়েছে।
গতকাল ব্রাহ্মণপাড়া
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রশিদ মার্কেট, হাজী মার্কেটসহ প্রায়
সব মার্কেটেই ক্রেতাদের ভিড়। এছাড়া ভ্যানগাড়িতে করে মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও
বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক বিক্রি করছেন। তুলনামূলক কম দামে পোশাক পাওয়ায়
এসব দোকানে বেচাকেনাও বেশি হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ ও দোকানগুলোতে বিভিন্ন
সাইজের সোয়েটার, জ্যাকেট, কার্ডিগান, কানটুপি, মাফলার, শাল, ট্রাউজার,
ফুলহাতা গেঞ্জি ও হুডিসহ নানা ধরনের শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এক-দেড়শ
টাকা থেকে শুরু করে আটশ,নয়শ টাকা দামের মধ্যেই মিলছে এসব পোশাক। এছাড়া
হাতমোজা ও শিশুদের শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এক থেকে তিনশ টাকার মধ্যেই।
সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে অনেক ক্রেতাই পুরাতন কাপড়ের দোকানের দিকে ঝুঁকছেন।
বাজারে
গরম কাপড় কিনতে আসা অটোরিকশাচালক জাহিদ মিয়া বলেন, এখন শীত একটু বেশি পড়ায়
অটো চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তাই হাতমোজা আর গায়ে দেওয়ার জন্য কিছু গরম কাপড়
কিনতে এসেছি।
ভ্যানে করে শীতের পোশাক বিক্রি করা ব্যবসায়ী ফারুক জানান,
এতদিন তেমন বেচাকেনা ছিল না। কিন্তু গত তিন দিন ধরে শীত বাড়ায় বিক্রি ভালোই
হচ্ছে।
পুরাতন কাপড় বিক্রেতা সোহেল মিয়া বলেন, এখন ক্রেতার চাপ অনেক
বেশি। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ থেকে ৫শ টাকা দামের গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
বেচাকেনা বাড়ায় খুশি দোকানিরা। শীত আরও বাড়লে গরম কাপড়ের বাজারে ক্রেতার ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
