নিজেদের
বোঝাপড়ার ভুলে তৃতীয় মিনিটেই অবশ্য বিপদে পড়তে বসেছিল মোহামেডান। তবে
রাকিব হোসেনের শট আঙুলের টোকায় কোনোমতে কর্নার করে দেন গোলরক্ষক সুজন
হোসেন।
২১তম মিনিটে সোহেল রানার লং পাস বক্সে রাকিব নাগাল পাওয়ার আগেই
সুজন গ্লাভসে জমান। ম্যাচ জুড়েই বক্সে রাকিব বলের জোগান দিয়ে গেছেন, কিন্তু
তা জালে পাঠাতে পারেননি কেউই।
একটু পর বক্সের সামনে সানডেকে ট্যাকল
করেন এলি কেকে। ফ্রি কিকের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে তিনি
দেখেন হলুদ কার্ড। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ফ্রি কিক বেরিয়ে যায় পোস্টের অনেকটা
দূর দিয়ে। পরের মিনিটে রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বল
গ্যালারিতে উড়িয়ে মেরে হলুদ কার্ড দেখেন মোহামেডানের মরিসন।
৩১তম মিনিটে
ভুল পাসে তপু এবার বল তুলে দেন নাবিব নেওয়াজ জীবনের পায়ে। অভিজ্ঞ এই
ফরোয়ার্ডের শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে গেলে হতাশা বাড়ে কিংসের।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফাহিমের কাটক্যাকে রাকিব মোহামেডানের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধে
মোহামেডানের খেলায় গতি ফেরে কিছুটা। ৬১তম মিনিটে মোজাফ্ফরভের বাঁকানো ফ্রি
কিক অনেকটা লাফিয়ে ফেরান কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
৭৮তম মিনিটে
ফাহিমের কর্নারে ইমানুয়েল টনির দুর্বল হেড ফেরান সুজন। একটু পর বক্সের
ভেতরে ভালো জায়গায় বল পেয়ে সানডে বাইরে মেরে হতাশ করেন।
শেষ দিকে আরেকটি
সুযোগ হারানোয় ডেডলক আর খুলতে পারেনি মোহামেডান। তাতে গত ১২ ডিসেম্বর লিগ
ম্যাচে কিংসের কাছে হারের ক্ষতে প্রলেপও দেওয়া হয়নি আলফাজ আহমেদের দলের।
