কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ফাজিল স্নাতক
(অনার্স) ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ (নিয়মিত, অনিয়মিত, রিটেইক, বিশেষ রিটেইক,
মান-উন্নয়ন/গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষা-২০২৪ চলাকালে পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে
'প্রকাশ্যে বই খুলে নকল' করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি তদন্তের জন্য
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে তদন্ত শেষে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা
প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়।
জানা গেছে, গত ৬
ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া কামিল
মাদ্রাসা কেন্দ্রে ফাজিল স্নাতক (অনার্স) ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ (নিয়মিত,
অনিয়মিত, রিটেইক/ বিশেষ রিটেইক, মান-উন্নয়ন/গ্রেড উন্নয়ন) পরীক্ষা-২০২৪
শুরু হয়। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীদের
বিরুদ্ধে পরীক্ষা চলাকালে বই দেখে নকল করার অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।
বিষয়টি উপজেলা
প্রশাসনের নজরে আসলে বুধবার ২৩ ডিসেম্বর রাতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি
গঠন করেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেনকে আহবায়ক, উপজেলা
শিক্ষা অফিসার মো. শামীম ইকবাল ও আইসিটি অফিসার রিয়াজ উদ্দিনকে সদস্য করে
উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমিটিকে তদন্ত করে
আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীদের
বই দেখে পরীক্ষা দেবার যেসব ভিডিও ও ছবি অনলাইনে ছড়িয়েছে তার সত্যতা পাওয়া
গিয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন
চন্দ্র রায় জানান, আইসিটি অফিসার কে তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে এসব ভিডিও
কিংবা ছবির সততা পাওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য। আশা করছি আমরা তদন্ত
প্রতিবেদনে এর বিষয়ের সঠিক তথ্য পাব।
তবে এই বিষয়ে পিপুলিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের এবিষয়ে সাথে কোন কথা হয়নি।
এ
বিষয়ে জানতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসকে ফোনে কল দেওয়া
হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফোন বন্ধ করে
দেন। এরপর একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষায় অসদুপায়ের
বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
