
ইউনেক্স-সানরাইজ
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজে পুরুষ দ্বৈতের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে
উঠেছেন রিয়াদুল ইসলাম ও তনয় সাহা জুটি। আজ (মঙ্গলবার) শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ
ইনডোর স্টেডিয়ামে তারা ভারতের ভেংকট সানী নাগা-সাই প্রুধভি সারানাম জুটিকে
সরাসরি ২১-৮ ও ২১-১৩ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়েছেন। ভারতের প্রতিযোগীরা
রিয়াদুুল-তনয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি।
তৃতীয়বারের মতো কোনো
আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিয়ে পরের রাউন্ডে উঠতে পেরে দারুণ খুশি খুলনার ছেলে
রিয়াদুল-তনয়। কদিন আগে ভারতীয় জুটির কাছে হেরেই বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল
চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকে তারা বিদায় নিয়েছিলেন। এবার সেই
ভারতকে হারিয়েই শেষ ষোলোতে উঠে গেলেন। ম্যাচ শেষে তনয় সাহা বলেন, ‘আমরা
পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে জুটি বেঁধে খেলছি। আমাদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া। আমরা
ধীরে ধীরে উন্নতি করছি। আমাদের সাফল্যের পেছনে রাজু স্যারের অবদান সবচেয়ে
বেশি। রাজু স্যারের মতো ভালোমানের একজন কোচ পেয়ে আমরা ধন্য। আরও ধন্যবাদ
দিতে চাই ইলোরা শাটলার একাডেমিকে। দিনাজপুরের এই একাডেমিটা বিশ্বমানের।
এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সব মিলিয়ে সিরিজে আমরা প্রথম ম্যাচ
জিতলাম। আরও অনেকদূর যেতে চাই।’
রিয়াদুল ইসলাম বলেন, ‘আগের দুটি
আন্তর্জাতিক আসরে আমরা ভালো করতে পারিনি। আন্তর্জাতিক এই সিরিজ
টুর্নামেন্টের শেষ ষোলাতে উঠতে পেরে ভীষণ আনন্দিত। আমাদের সামনে একটাই
লক্ষ্য– চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সেজন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’
দ্বৈত
বিভাগে সাফল্যের দিনে এককেও দুটি জয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। তারকা শাটলার
খন্দকার আব্দুস সোয়াদ এককে জয় পেয়েছেন। ইরানের সৈয়দ আরমিন জাকিকে তিন সেটের
লড়াইয়ে ২১-১৭, ১৭-২১ ও ২২-২০ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে
উন্নীত হয়েছেন তিনি। এককে নিজ খেলায় জয় পেয়েছেন স্বাগতিক দলের চিং মং
মারমাও। থাইল্যান্ডের পান্নাচি বোমমাককে ২১-১৫, ১১-২১ ও ২২-২০ পয়েন্টের
ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি।
পুরুষ এককে আজ আর কেউ জিততে পারেননি। আল
আমিন জুমার, আইমান ইবনে জামান, গৌরব সিংহের মতো বড় নামগুলো নিজ নিজ খেলায়
হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন। জিততে পারেননি সিফাত উল্লাহ
গালিবও। এ ছাড়া মো. রতন, আব্দুল হামিদ লুকমান, রবিউল ইসলাম রিপন
প্রতিপক্ষের কাছ থেকে জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এককের মতো সিফাত
ব্রাদার্স দ্বৈতেও হেরে গেছেন (সিফাত উল্লাহ-সিবগাত উল্লাহ)। নারী এককে বড়
নাম ঊর্মি আক্তারও হতাশ করেছেন। মালয়েশিয়ার লিম ঝি শিনের বিপক্ষে ২১-৬ ও
২১-৯ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরে গেছেন ঊর্মি।
