রাজধানীর
পল্টনে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাবের
লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের পরিচালক এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী কাওরান
বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো-শহিদ মাঝি, মামুন, মিজান, মো. জুয়েল বিশ্বাস, মো. আলামিন দুয়ারী দিপু ও মো. আবুল কালাম আজাদ।
র্যাব
জানায়, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে র্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী
ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, পল্টন মডেল
থানা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডাকাত দলের
সদস্যদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের মাইক্রোবাসটি আভিযানিক দল পল্টন
মডেল থানার ভিআইপি রোড এলাকায় থামায়। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা ছয় জন ব্যক্তি
র্যাব বলে পরিচয় দেয়। পরে পরিচয়পত্র যাচাই করে সেগুলো ভুয়া বলে প্রমাণিত
হয়।
পরে তাদের আটক করে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করা হলে র্যাব লেখা চারটি
কটি ও চারটি ক্যাপ, র্যাবের পাঁচটি ভুয়া আইডি কার্ড, দুটি হ্যান্ডকাফ,
দুটি ওয়াকিটকি সেট, একটি পিস্তলের কভার, একটি ব্যাটন স্টিক, দুটি অতিরিক্ত
নম্বর প্লেট, পাঁচটি স্মার্টফোন, চারটি বাটন ফোন, একটি এয়ারপড, এক জোড়া
হ্যান্ড গ্লাভস, চরটি হাতঘড়ি, নগদ ২০ হাজার ৪৫ টাকা এবং ডাকাতি কাজে
ব্যবহৃত সিলভার-পার্ল রঙের মাইক্রোবাসটি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, শহিদ মাঝি,
মামুন ও মিজানদের পরিকল্পনামতে মো. জুয়েল বিশ্বাস ও মো. আলামিন দুয়ারী দিপু
আগেও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে দেশে বিভিন্ন স্থানে মো.
আবুল কালাম আজাদের চালিত মাইক্রোবাস ব্যবহার করে ডাকাতি ও দস্যুতা করেছে।
মঙ্গলবার
২টার দিকে শহিদ মাঝি ও মামুন ফোন করে পল্টনে আনন্দ ভবনের সামনে আসামিদের
একত্রিত করে এবং মিজানের কথামতো মো. আবুল কালাম আজাদ একটি মাইক্রোবাস নিয়ে
আসে। আসামিরা ওই মাইক্রোবাসে উঠে এবং মাইক্রোবাসে মামুনের দেওয়া জব্দ করা
আলামত দেখতে পায়। পরে আসামিরা মাইক্রোবাসে উঠে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও
এলাকায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে।
মো. জুয়েল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ
মোট ১৫টি মামলা, আলামিন দুয়ারী দিপুর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের
মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা, সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ মোট ছয়টি
মামলা, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকসহ মোট ছয়টি মামলা এবং
বোরহান মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক আইনের মোট চারটি মামলা রয়েছে।
মো. জুয়েল
বিশ্বাস মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ১৬ লাখ টাকা ডাকাতি করে
এবং ওই মামলায় সে গ্রেফতার হয়। এছাড়াও পল্টন থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক
জনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ডাকাতি করে; যার ফলে ডিএমপি ঢাকার পল্টন মডেল
থানায় একটি মামলা হয়। জুয়েল বিশ্বাস চক্রটির নেতৃত্ব দিতো। সে নতুন
সদস্যদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ডাকাত দলে যুক্ত করতো এবং ডাকাতিতে অংশ
নিতে বাধ্য করতো। জুয়েল বিশ্বাস গত ২৭ নভেম্বর ও সাজ্জাদ হোসেন ২৯ নভেম্বর
এবং আবুল কালাম আজাদ বছর আগে জেল থেকে জামিনে বের হয়।
