এমএ কাশেম ভূঁইয়া-হোমনা ।।
কুমিল্লা-২
(হোমনা ও তিতাস) আসনে সদ্য ঘোষিত বিএনপি'র মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে
স্থানীয় পদপ্রত্যাশীদের যে কাউকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়ার দাবী জানিয়েছে
মনোনয়ন বঞ্চিতরা। অন্যথায় আসনটিতে দলীয় ঐক্য নষ্ট হয়ে ধানের শীষের ভরাডুবি
হওয়ার শঙ্কাও করেন তারা।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১দফা প্রচারপত্র বিতরণ করে নিজেদের
প্রার্থীতা ঘোষণা দেয়া ৪প্রার্থী এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঐক্যের ঘোষণা
দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি কামনা করেন।
৯ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে
হোমনা পৌর সুপার মার্কেটের নিচ তলায় কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) এর
সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।
এসময় বক্তরা
বলেন, বহিরাগত প্রার্থী দিলে এ আসনে ধানের শীষের বিজয় ঝুঁকির মুখে পড়তে
পারে! হোমনা ও তিতাসে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে আসছেন
সাধারণ ভোটাররা। তাই মেঘনা উপজেলার বাসিন্দাকে প্রার্থী ঘোষণা করায়
এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বক্তারা দাবি করেন, ঘোষিত প্রার্থীর
পরিচিতি কম এবং অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে; যা নির্বাচনে
নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে! লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, স্থানীয় মানুষ
বহিরাগত কাউকে সহজে গ্রহণ করেন না। ভুল প্রার্থী দিলে ভোটাররা শীর্ষ
নেতৃত্বের প্রতি অনীহা দেখাতে পারেন। বিরোধীরা সুযোগ পেয়ে নির্বাচনে
কূটকৌশল চালাতে পারে। প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা কম হলে ধানের শীষের জয় কঠিন
হয়ে যাবে এ আসনে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি
সম্মান দেখিয়ে এতদিন তারা কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করেননি। তবে জনগণের মতামত
বিবেচনায় তারা একমত হয়েছেন। হোমনা ও তিতাসের বাইরে কাউকে প্রার্থী হিসেবে
মেনে নেওয়া হবে না। স্থানীয় প্রার্থীদের মধ্য থেকে যাকে দল চূড়ান্ত মনোনয়ন
দেবে, সবাই মিলে তাকেই বিজয়ী করতে কাজ করবেন।
বক্তারা বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নীতি নির্ধারকদের প্রতি মনোনয়ন
পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান। তাদের মতে, সৎ, যোগ্য ও তৃণমূলের নেতাই এ আসনে
ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মাহফুজুল
ইসলাম, বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস ও সচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন খান,
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল হক জহর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান
এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার
সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না। পরে তারা সাংবাদিকদের
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এর আগে বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদ জিয়ার
দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
