শনিবার ২৯ নভেম্বর ২০২৫
১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ওষুধশিল্প - বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ও কৌশলগত শিল্প খাত
মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী
প্রকাশ: শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ এএম আপডেট: ২৯.১১.২০২৫ ১২:৫৩ এএম |


 ওষুধশিল্প - বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ও কৌশলগত শিল্প খাত
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুস্থ থাকা জীবনকে উপভোগ করার শক্তি, শান্তি ও আনন্দ জোগায়। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মানুষ কাজে আনন্দ পায় ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। স্বাস্থ্যবান মানুষ দেশের সম্পদ।  তাই সুস্থতা মানুষের সবচেয়ে বড় চাওয়া। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উপর জোর দিয়েছে।তবুও মানুষ বিভিন্ন কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভের জন্য মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন হয়। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে সবচেয়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িত উপাদান হলো ওষুধ। ওষুধ মানবকল্যাণে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় অবদান। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং আবিষ্কৃত পেনিসিলিন কিংবা গুটি বসন্ত, পোলিওসহ বিভিন্ন রোগের টিকা অথবা আমাদের আইসিডিডিআরবি আবিষ্কৃত খাবার স্যালাইন পৃথিবীর কোটি মানুষের প্রাণ রক্ষা করছে। তাই যে দেশ ওষুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে।
বিশ্বব্যাপী ওষুধ বাজার একটি ট্রিলিয়ন-ডলারের শিল্প। ২০২৪ সালে সালে বিশ্বব্যাপী ফার্মাসিউটিক্যাল বাজারের আকার ছিল প্রায় ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রায় বার্ষিক ৬.১% চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে এ বাজারের আকার ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধ জনসংখ্যার বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় বৃদ্ধি এবং ওষুধ আবিষ্কারে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। ওষুধ বিক্রয় রাজস্বের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বৃহত্তম ফার্মা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ১) ফাইজার (৫৮.৫ বিলি.ডলার); ২) জনসন অ্যান্ড জনসন- (৫৪.৭৬ বিলি.ডলার); ৩) অ্যাবভি- (৫৪.৩২ বিলি.ডলার); ৪) মার্ক অ্যান্ড কো - ৫৩.৬ (বিলি.ডলার); ৫) রোচে - ৪৯.৯ (বিলি.ডলার); ৬) সানোফি - ৪৬.১৬ (বিলি.ডলার); ৭) অ্যাস্ট্রাজেনেকা - ৪৫.৮ (বিলি.ডলার); ৮) নোভার্টিস - ৪৫.৪ (বিলি.ডলার) ; ৯) ব্রিস্টল-মায়ার্স স্কুইব - ৪৫ (বিলি.ডলার) ; ১০) জিএসকে - ৩৮.৪ (বিলি.ডলার)।
ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক খাতগুলির মধ্যে একটি । বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের (বিশেষ করে জেনেরিক ওষুধ) অগ্রগতি বিশ্বের নজর কেড়েছে। দেশের উৎপাদিত ওষুধের গুণমান আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তুলনীয় এবং তা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বিশেষায়িত শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলের জন্য উচ্চতর বেতনে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ২০০,০০০ লোক এবং পরোক্ষভাবে আরও ৩০০,০০০ লোক নিযুক্ত।
আশির দশকের গোড়ার দিক থেকে বাংলাদেশের ওষুধ খাত রূপান্তরিত এবং বিকশিত হচ্ছে। ১৯৮২ সালের জাতীয় ঔষধ নীতি ছিল বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য বিপ্লবের সূচনা। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙে স্থানীয় উৎপাদনকে প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে ওষুধশিল্পের অগ্রগতি। গত ৫ দশক ধরে এই খাতটি শক্তিশালী থেকে শক্তিশালীতর হচ্ছে। ওষুধ শিল্প যেহেতু একটি প্রযুক্তি এবং জ্ঞান ভিত্তিক খাত; তাই স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য এই যাত্রা সহজ ছিল না। দক্ষ জনবল সহ শক্তিশালী উৎপাদন ভিত্তি এক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ পথে যাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে। 
স্বল্পোন্নত দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ গর্বের সাথে একমাত্র স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে সু-উন্নত ঔষধ খাত রয়েছে। বাংলাদেশের উৎপাদনকারীরা ইনসুলিন, হরমোন এবং ক্যান্সারের ওষুধসহ প্রায় সকল ধরণের ওষুধ উৎপাদন করে। 
এদেশের উৎপাদনকারীরা সফলভাবে মিটারড ডোজ ইনহেলার, ড্রাই পাউডার ইনহেলার, লাইওফিলাইজড ইনজেকশন, জীবাণুমুক্ত চক্ষু, প্রি-ফিল্ড সিরিঞ্জ, ওরাল থিন ফিল্ম, মাল্টি-লেয়ার ট্যাবলেট, ইনসুলিন, ভ্যাকসিন ইত্যাদি সহ জৈবিক পণ্য তৈরি করেছে।
বাংলাদেশে ৩০০ টির মতো নিবন্ধিত ওষুধ কোম্পানি রয়েছে। বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের বর্তমান বাজার ৩বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি । এই বাজার ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশকে জেনেরিক এবং বিশেষায়িত ফর্মুলেশনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে স্থান করে দেবে। এই খাত স্থানীয় বাজারের মোট ঔষধি চাহিদার ৯৮% সরবরাহ করে। বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১.৮৩ শতাংশ আসে ফার্মাসিউটিক্যাল খাত থেকে। ‘দ্য অবজারভেটরি অফ ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটির’ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ওষুধ পণ্যের ৭২তম বৃহত্তম রপ্তানিকারক ছিল, যেখানে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ওষুধ রপ্তানি হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের ঔষধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইইউ ইত্যাদি সহ ১৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যার পরিমাণ প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ওষুধ কোম্পানিগুলি তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ, যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা টিজিএ সহ অনেক দেশের ঔষধ নিয়ন্ত্রণকারি সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বের যেকোন দেশে ব্যবহার উপযোগী ঔষধ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় শর্ত হিসেবে আধুনিক উত্তম উৎপাদন ব্যাবস্থা পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার সুবিধা তৈরি করেছে। উন্নত দেশগুলিতে বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত ঔষধ রপ্তানির জন্য বিশ্বখ্যাত অনেক প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রসাশন অধিদপ্তরের অনুমোদন লাভ করেছে। 
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রিপস মওকুফের সুবিধা পাবে। ট্রিপস মওকুফের সুবিধা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে, বাংলাদেশী সংস্থাগুলি পেটেন্টযুক্ত ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানি করার সুবিধা ভোগ করছে। গবেষণা ও উন্নয়ন, উৎপাদন ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রিত বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে কৌশলগত বিনিয়োগ এই খাতকে আমদানি প্রতিস্থাপন থেকে উচ্চ-মূল্যের রপ্তানিমুখীকরণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়িগণ প্রযুক্তিগত নির্ভর এবং সেবামূলক এই শিল্পে বিনিয়োগ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কর্মক্ষম, সুস্থ-সবল জাতি গঠনে অবদান রাখছে।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের ফলে এই খাতটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। পেটেন্টকৃত ঔষধ উৎপাদনে ছাড় সুবিধা রহিত হলে প্যাটেন্টকৃত ওষুধ উৎপাদন করা কঠিন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশ 'সক্রিয় ঔষধ উপাদান’(এপিআই) চাহিদার ৮৫% এরও বেশি আমদানি করে এবং এ আমদানির ক্ষেত্রে বার্ষিক ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে। ওষুধশিল্পের ৮০% কাঁচামাল আমদানিনির্ভরতা উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে, ফলে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমাচ্ছে এবং সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত করছে। ওষুধশিল্পে এখনও দক্ষ জনবলের যেমন উচ্চ মানসম্পন্ন গবেষক, কেমিস্ট এবং ফার্মাকোলজিস্টের ঘাটতি রয়েছে। অভাব স্পষ্ট। আধুনিক বায়োটেকনোলজি ও জিন থেরাপির মতো জটিল প্রযুক্তি রপ্ত করতে দক্ষ কর্মী দরকার। 
সরকার ওষুধ শিল্প খাতের বিকাশের লক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।সরকার ওষুধের পাশাপাশি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত রপ্তানি বৈচিত্র্য খাত হিসেবে ৫টি নির্দিষ্ট এপিআই অণুর উৎপাদকদের জন্য ১০০% কর অবকাশ ২০২২ থেকে ২০৩২ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ৩টি নির্দিষ্ট এপিআই অণুর উৎপাদকদের জন্য ৭.৫% কর অবকাশ ২০২৩ থেকে ২০৩২ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সক্রিয় ঔষধ উপাদান রপ্তানিতে ৫% রপ্তানি ভর্তুকি, ঔষধ পণ্য রপ্তানিতে ৬% রপ্তানি ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরনের পর বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা টেকসই করা এবং অবস্থান সুসংহত রাখার জন্য তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি ওষুধ শিল্পকে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার, শিল্পপতি, নীতিনির্ধারক এবং ওষুধশিল্পের সঙ্গে জড়িত সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্মিলিতভাবে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। ওষুধশিল্পের মান উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে প্রবেশের জন্য মান নিশ্চিত অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার খোঁজাও প্রয়োজন। ওষুধ প্রযুক্তি ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দক্ষ জনবল তৈরি করা যেতে পারে। একটি স্বনির্ভর এপিআই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য এপিআই পার্কের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে দেশীয় কাঁচামাল উৎপাদন বাড়াতে হবে, যাতে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমে। এতে যেমন চিকিৎসা খাতের উন্নয়ন ঘটবে, একইভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি আরও মজবুত হবে। পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, নতুন নতুন বাজার খোঁজা এবং মান উন্নয়নের মাধ্যমে ওষুধশিল্পের অগ্রগতির জয়যাত্রাকে বিশ্বের দরবারে আরও প্রসারিত করা সম্ভব হবে।
লেখকঃ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত।












http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
কোনো ষড়যন্ত্রই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না : হাজী ইয়াছিন
মানুষের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করে বৃদ্ধকালেও কারাবরণ করেছেন খালেদা জিয়া: মনির চৌধুরী
খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় : মির্জা ফখরুল
দাউদকান্দিতে বাসের ধাক্কায় ইটবাহী ট্রাক্টরের ২ শ্রমিক নিহত
বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ দুটি ঘর পুড়ে ছাই
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বিশিষ্ট গাইনি চিকিৎসক ফাহমিদা আজিম কাকলির জানাজা সম্পন্ন
খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়ে কাঁদলেন হাজী ইয়াছিন
প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা ও দুই সন্তানের সাজা
আদালত ও কালিয়াজুরি এলাকায় মনিরুল হক চৌধুরীর গণসংযোগ
লাকসামের দুই বিএনপি নেতার আজও খোঁজ মিলেনি!
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২