ঢাকার
পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে
পালানোর সময় ‘দ্রুতগতিতে না যাওয়ায়’ ওই রিকশা চালককেও গুলি করেছে খুনিরা।
সোমবার রাত ৯টার দিকে রিকশা চালক মো. আরিফকে (২০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরিফকে
হাসপাতালে নিয়ে যান পিয়ারুল ইসলাম নামের একজন পথচারী। তিনি হাসপাতালে
সাংবাদিকদের বলেন, যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে যখন খুন করা হয়, আরিফ তখন
মিরপুর ১১নম্বর সি ব্লক ও এ ব্লকের মাঝামাঝি এলাকার রাস্তায় যাত্রীর জন্য
অপেক্ষা করছিলেন।
“তখন দৌড়ে এসে হেলমেট পরা দুইজন তার রিকশায় উঠে দ্রুত
যেতে বলে। না হলে গুলি করে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। রিকশা চালু করতে
করতেই দুজনের একজন আরিফের পিঠে গুলি করে রিকশা থেকে নেমে দ্রুত চলে যায়।”
ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, “গুলিবিদ্ধ
আরিফের চিকিৎসা চলছে। তবে সে শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।”
আরিফের
বাসা মিরপুর ১২নম্বর সেকশনের সি ব্লকে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লবীর
পুরানো থানার কাছে সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে মুখোশ ও হেলমেট পড়া
তিন ব্যক্তি ঢুকে যুবদল নেতা কিবরিয়াকে খুব কাছ থেকে গুলি করে চলে যায়।
কিবরিয়া
যুবদলের পল্লবী থানার সদস্য সচিব ছিলেন। রাত ৮টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায়
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, কী কারণে কারা তাকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে, তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
