জুলাই
অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খাঁন কামালের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের রায় দিয়েছে আদালত। জুলাই আন্দোলনে
গণহত্যার অভিযোগে করা একটি মামলার রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ
সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
হাসিনা এবং কামালের সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণার পর রায়ে
বলা হয়, “অভিযুক্ত শেখ হাসিনা এবং অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের
বাংলাদেশে থাকা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হবে।”
একইসঙ্গে,
জুলাই আন্দোলনে নিহত বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যারা এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত
তাদেরকে ‘উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ’ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও সরকারকে দিয়েছে
আদালত।
রায়ে সরকারকে আদেশ দেওয়া হয়েছে, জুলাই আন্দোলনে আহতদেরও ‘শারীরিক ক্ষতির’ ধরণ অনুযায়ী যেন ‘পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ’ দেওয়া হয়।
বিচারপতি
মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে।
এদের মধ্যে
শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড হলেও মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সাজা হয় পাঁচ বছরের।
দেড় দশক দেশ শাসন করা
হাসিনা ১৫ মাস আগের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে এখন আছেন ভারতে। তিনিই
বাংলাদেশের প্রথম সাবেক সরকারপ্রধান, যার মাথার ওপর ঝুললো মৃত্যুদণ্ডের
খাঁড়া।
আর সেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকেই শেখ হাসিনার
সর্বোচ্চ সাজার রায় এল, যে আদালত তার সরকার গঠন করেছিল একাত্তরের
যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য।
এই ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের
ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগের আমলে জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ শীর্ষ নেতা এবং বিএনপির
একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
জুলাই আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে
হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবলিটি’
এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট ৫ অভিযোগ আনা হয় আসামিদের
বিরুদ্ধে।
