নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ, বাদুরতলা ও ধর্মসাগরপাড় এলাকায়
নাশকতার পরিকল্পনা ও ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সংঘবদ্ধ অবস্থায়
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২৯ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও
জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী
সংগঠনের আরো ১৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে
বাঁশের লাঠি, ব্যানার, গ্যাসলাইটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে
জানা গেছে। তবে আটকদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহিনুল ইসলাম।
রবিবার
(১৬ নভেম্বর) সকালে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতোয়ালি
মডেল থানার একাধিক টিম ওই তিন এলাকায় সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে।
তাৎক্ষণিক অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ২৯ জনকে আটক করা হয়।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা
জানায়, সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল ও নাশকতার করার জন্য
ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জড়ো হতে থাকে। পরে হঠাৎ পুলিশি অভিযান শুরু হলে
এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করে
পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মাহিনুল ইসলাম বলেন, “নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঝটিকা মিছিল ও
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনার খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালাই। টমছমব্রিজ,
বাদুরতলা ও ধর্মসাগরপাড় এলাকায় সন্দেহজনকভাবে অবস্থান নেওয়ার সময় তাদের আটক
করা হয়। তাদের কাছ থেকে বাশের লাঠিসহ নাশকতার পরিকল্পনার বিভিন্ন উপকরণ
পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নাশকতার
প্রস্তুতিসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত
অন্যদের চিহ্নিত করার কাজও চলছে। এ ঘটনায় নগরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা
হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ
খাঁন বলেন, কুমিল্লায় আইন শৃংঙ্খলা বিঘ্নের উদ্দশ্যে সাবেক এমপি আ.ক.ম
বাহারের মেয়ে সূচনার টাকায় শহরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের
প্রস্তুতি নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর ২৯জনসহ পুরো জেলা মোট ৪৪ জনকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটকদের কাছ থেকে ব্যানার, লাঠিসহ নাশকতার পরিকল্পনার
বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান
রয়েছে।
